বিধিভঙ্গ: ৬ ঘণ্টা দেরিতে এনজেপি পৌঁছনোর পরে পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীরা গাদাগাদি করে বেরিয়ে আসছেন যাত্রীরা। মানা হচ্ছে না দূরত্ব বিধি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
লকডাউনে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পরে সবেমাত্র চলতে শুরু করেছে পদাতিক। এরমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে নাকাল হতে হল যাত্রীদের। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার পরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় পদাতিক এক্সপ্রেসে। এই কারণে বুধবার ৬ ঘণ্টা দেরি করে এনজেপি পৌঁছয় ট্রেনটি। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় বাতানুকুল কামরার বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল।
রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনের মধ্যে থাকাকালীন মঙ্গলবার রাতে আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘কী ভাবে এই বিভ্রাট হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি তদন্ত করা হবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করে ট্রেন গন্তব্যের দিকে চালানো হয়েছে।’’ রেল সূত্রের খবর, ওই ঘটনার জন্যই পদাতিক দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়সূচির থেকে চার ঘণ্টা পিছিয়ে পড়ে। পরে অন্য জংশন থেকে বিকল্প ইঞ্জিন নিয়ে গিয়ে ওই ট্রেন চালানো হয়। অভিযোগ বর্ধমানের পর থেকে মালদহ, কিসানগঞ্জ এবং এনজেপি মধ্যেও বেশ কিছুটা দেরিতে চলেছে ট্রেনটি। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ায় আর সময়সূচি মানা যায়নি। এর ফলে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার বদলে বিকেল সাড়ে তিনটায় এনজেপি এসে পৌঁছয় পদাতিক। এই ঘটনায় প্রবল সমস্যায় পড়েন পদাতিকের যাত্রীরা।
বিদ্যুৎ না থাকায় বাতানুকুল কামরার যাত্রীরাই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন। বুধবার ট্রেনটি এনজেপি এলে হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা সুতনু দাস তাঁর মাকে নিয়ে নামেন। সুতনু বলেন, ‘‘মা এমনিতেই হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছে। তার উপর এই বিরক্তিকর যাত্রায় খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বিশ্রাম দরকার।’’ পরিবারের আরও এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে এনজেপি থেকে বের হন ওই যাত্রী। কমবেশি অনেক যাত্রীই এরকম অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়েন।
ট্রেন ভাল করে পরীক্ষা না করেই কি ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে? বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এনজেপি ভক্তিনগর রেলযাত্রী কল্যাণ সমিতির কর্মকর্তা দীপক মহান্তি বলেন, ‘‘রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন চালাতে পারবে বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এই যাত্রীট্রেন চলা শুরু হয়েছে। কিন্তু এ ভাবে পরিষেবা মার খেয়ে গেলে তার দায় রেলকে নিতে হবে।’’
গত বছরও বীরভূমে পদাতিক এক্সপ্রেসে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার সমস্যায় পড়েছিলেন বিধায়করা। ওই ঘটনায় এখনও তদন্ত চালাচ্ছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy