প্রতীকী ছবি।
আলুর দাম একদিন কেজি প্রতি ২৫ টাকা, তো পরদিন ৩০ টাকা। কখনও দাম বেড়ে ৪০ টাকায় পৌঁছছে, কখনও নামতে নামতে ২০ টাকায়। খুচরো বাজারে আলুর দামের এমন ওঠা-নামায় বিব্রত জেলা প্রশাসন থেকে শিক্ষকেরাও।
প্রতি মাসে প্রাথমিক এবং হাইস্কুল থেকে মিড-ডে মিল বিলি হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, মিড-ডে মিলে আলুও দিতে হয়। আলু কেনার জন্য সরকার যে দাম ঠিক করে দেয় তার সঙ্গে বাজারের সামঞ্জস্য থাকে না বলে ডান-বাম সব শিক্ষক সংগঠন অভিযোগ করে এসেছে। এ বারে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, মিড-ডে মিলের জন্য শিক্ষকদের বাজার থেকে আলু কিনতে হবে না। আলু সরবরাহ করবে জেলা প্রশাসনই।
গত মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, কৃষি বিপণন দফতর আলু কিনবে। সেই আলু স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করবে খাদ্য দফতর। যে ভাবে চাল এবং ছোলা এতদিন স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করা হয়েছে, সে ভাবেই আলুও পৌঁছবে স্কুলে। খাদ্য দফতর এবং কৃষি বিপণন দফতরকেও জেলাশাসকের দফতর থেকে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ৭ জানুয়ারি থেকে মিড-ডে মিল বিলি করা হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ, ৪ জানুয়ারির মধ্যে চাল-ছোলা-আলু স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দিতে হবে। ৫ জানুয়ারির মধ্যে মিড-ডে মিলের সামগ্রী প্যাকেটে ভরার কাজ সেরে ফেলতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “এর আগে কৃষি বিপণন দফতর থকে বাজার দর কিনে আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, যখন নির্দেশিকা বের হয় তখন আলুর দাম যা থাকে আর যখন মিড-ডে মিল বিলির সময় হয়, তখন আলু দাম বেড়ে যায়। তাই এ বার সেইসব ঝুঁকি না নিয়ে কৃষি বিপণন দফতরকেই সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।” পড়ুয়া পিছু এক কেজি করে আলু দেওয়া হবে আগামী মাসের মিড-ডে মিলে।
সরকারি সরবরাহ করা আলুর গুণমান নিয়েও প্রশ্ন ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা যেন সরবরাহ করা আলু যাচাই করে দেখে নেন। গুণমান খারাপ থাকলে প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আলু বদলে দেওয়া হবে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy