মালদহ জেলায় আবাস যোজনায় এ পর্যন্ত ১৮ শতাংশ বাড়ি তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। অথচ ওই প্রকল্পে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ছাড়া শুরু হয়েছে। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট উপভোক্তারা কেন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারছেন না, তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ওই ১৮ শতাংশ বাড়ি তৈরির কাজ যাতে শুরু করা হয় সেজন্য দল গড়ে পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি যে সমস্ত বাড়ি তৈরির কাজ চলছে সেগুলোতেও নজরদারি চালাচ্ছেন তারা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সমীক্ষা অনুযায়ী মালদহ জেলায় প্রায় ৯৯ হাজার উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত। জেলায় প্রথম ধাপে ২৯,৭৮২ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা বিলি করা হবে। এ পর্যন্ত জেলায় ২৯,০৫৩ জন প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। ১৫ হাজার উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে, ২১১২টি। পাশাপাশি জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ শতাংশ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হয়নি। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরেও কেন উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করছেন না তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনের কর্তারা।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ১৮ শতাংশ উপভোক্তা যাতে দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন সে কারণে ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের নিয়ে ব্লকে ব্লকে নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে এবং তারা ঘুরে ঘুরে ওই উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করার জন্য আবেদন ও উৎসাহিত করছেন। পাশাপাশি যে সমস্ত বাড়ি তৈরির কাজ চলছে সেগুলি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেটাও যাচাই করছেন ওই নজরদারি দল। বাড়ি তৈরির কাজের ছবিও তারা জিপিএসের মাধ্যমে তুলে ব্লক ও জেলায় পাঠাচ্ছেন।" জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, "১০০ শতাংশ উপভোক্তারা যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরি করেন সে ব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)