শীত বিদায় নিতেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে মালদহে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলার একশো শতাংশ গাছে মুকুল আসবে বলে দাবি উদ্যান পালন দফতরের। তবে ফলন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে চাষিরা। তাঁদের দাবি, শীত দেরি করে বিদায় নেওয়ায় মুকুল আসার সময় এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। যার প্রভাব আমের উৎপাদনের উপরে পড়বে।
কৃষকদের এখনই হতাশ না হয়ে গাছের পরিচর্চায় জোর দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন আধিকারিকেরা। উদ্যান পালন দফতরের জেলা উপ-অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন, “প্রায় ৬০ শতাংশ আম গাছেই মুকুল এসেছে। সপ্তাহখানেকে বাকি ৪০ শতাংশ গাছেও ফুটবে। যে সমস্ত গাছে মুকুল আসেনি, সেই গাছগুলিতে কৃষকদের জল স্প্রে করতে হবে। মুকুল মটরদানায় পরিণত হলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।”
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে আমের মুকুল আসতে শুরু করে। এ বারে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেও জেলার সমস্ত গাছে মুকুল আসেনি। শীত জাঁকিয়ে পড়ায় মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। মুকুল ফোটার ক্ষেত্রে রোদ ঝলমলে পরিবেশ আদর্শ, দাবি চাষিদের। পুরাতন মালদহের আম চাষি সুব্রত সরকার বলেন, “কখনও করোনা, কখনও নিপা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা মার খেয়েছে। আবহাওয়ার কারণে সমস্ত গাছে মুকুল আসেনি। মুকুল দেরিতে ফুটলে, উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। এপ্রিল-মে থেকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। সে সময় আম ছোট থাকলে ঝরে যাবে।” আম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “গত বছরও সাড়ে তিন লক্ষ টন আম উৎপাদন হয়। মুকুল দেরি করে আসায়, উৎপাদন নিয়ে কৃষকেরা চিন্তায়। ভিন্ দেশে আম রফতানিতে আরও জোর দিতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy