কোতোয়ালি হাভেলিতে বৈঠকে অধীর। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গা ভাঙনে জেরবার মালদহ ও মুর্শিদাবাদের নদী পারের বাসিন্দাদের বড় অংশ। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন গঙ্গা পাড়ের দুই জেলার বহু মানুষ। শনিবার দুপুরে, মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে মালদহে গিয়ে এক যোগে রাজ্য ও কেন্দ্রকে দুষলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রাজ্যের ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে।
এ দিন মালদহের কোতোয়ালি ভবনে কংগ্রেসের রাজ্য পর্যবেক্ষক এ চেল্লা কুমার, সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, ইশা খান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে ভাঙন কবলিত এলাকায় পদযাত্রার ডাক দেন অধীর। তিনি বলেন, “ভাঙন রোধে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার উদাসীন। কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় ভাঙনকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সেই সময়, ভাঙন রোধে কেন্দ্রের টাকাও মিলেছিল। এখন কোনও কাজই হচ্ছে না। অথচ, স্বরাষ্ট্র দফতরে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৬০০ কোটি টাকার বেশি পড়ে রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভাঙন নিয়ে এ দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি রাজ্যের দিকে বল ঠেলেছেন। রাজ্য ভাঙন রোধে কেন্দ্রের কাছে কোনও দাবি করছে না। এমনকি, মুখমন্ত্রী একবারও ভাঙন কবলিত এলাকায় যাননি।” আগামী, ১৫ নভেম্বর ভাঙন কবলিত এলাকায় পদযাত্রা করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “রাজ্য নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী ভাঙন রোধের কাজ করছে। অধীরবাবুদের উচিত সংসদে গিয়ে কেন্দ্রের উপরে ভাঙন রোধের কাজের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। শামসেরগঞ্জেও ভাঙন রোধে ৪০ কোটি টাকার কাজ চলছে।” বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যের অসহযোগিতায় ভাঙন রোধের কাজ কেন্দ্র করতে পারছে না।” এ সবের মাঝে রাজনৈতিক চাপানউতোরের বদলে ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছেন বৈষ্ণবনগর, মানিকচক, ফরাক্কা, শামসেরগঞ্জের নদী পারের বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy