সর্দি-কাশিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৫১ জন। প্রতীকী চিত্র।
জেলার আরও ১১ জনের রিপোর্টে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ মিলল। কয়েকদিন আগে, কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতর দ্বিতীয় দফায় ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় ‘নাইসেড’-এ পাঠিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তার রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দফতরে এসেছে। তাতে ১১ জন শিশু-কিশোরের অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। দফতর সূত্রে দাবি, আক্রান্তেরা সুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছে।
কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, “নাইসেডে পাঠানো ৩০ জনের নমুনার রিপোর্ট এসেছে। ওই রিপোর্টে যাদের নমুনায় অ্যাডিনোভাইরাস মিলেছে, তাদের প্রত্যেকে আগেই সুস্থ হয়েছে। বাড়িতে রয়েছে। হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অনেক কম। উদ্বেগের কোনও ব্যাপার নেই।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফায় কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের ১৫ জন, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা মহকুমার পাঁচ জন করে রোগীর নমুনা ‘নাইসেড’-এ পাঠান হয়েছিল। এমজেএন মেডিক্যালের চার জন, তুফানগঞ্জের চার জন, দিনহাটার দু’জন ও মাথাভাঙার এক জনের রিপোর্টে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের কথা জানানো হয়েছে। চলতি মাসেই প্রথম দফায় জেলার ২৫ জনের নমুনা ‘নাইসেড’-এ পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছ’জনের রিপোর্টে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ মেলে।
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মেডিক্যাল কলেজ, জেলার চারটি মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে বুধবার জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৫১ জন। যাদের বয়স ১৪-র মধ্যে। নতুন ভর্তির সংখ্যা কমেছে। তবে সতর্কতায় খামতি রাখা হচ্ছে না। জ্বর, সর্দি-কাশিতে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। তিনি জানান, গত শুক্রবার ১৪ বছর বয়সের মধ্যে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৯ জন। গত বুধবার ছিল ৬২ জন। ওই সংখ্যা পঞ্চাশের ঘরে নামায় খানিক স্বস্তি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy