বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে শকুনের বাসা। ছবি: বন দফতরের সৌজন্যে।
এ বার আর কৃত্রিম কেন্দ্রে প্রজনন নয়। বরং জঙ্গলের ভিতরে বাসা তৈরি করে সেখানে ডিম ফুটিয়ে একটি ছানার জন্ম দিল দুই শকুন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের যে ঘটনায় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে বন দফতরের অন্দরে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সার গভীর জঙ্গলে গত জানুয়ারি মাসে শকুন ছানাটির জন্ম হয়েছে। যার এখন বয়স এক মাস।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লন্ডনের ‘রয়্যাল সোসাইটি ফর প্রটেকশন অব বার্ডস’-এর আর্থিক সহযোগিতায় ২০০৬ সালে রাজাভাতখাওয়ায় শকুন প্রজনন কেন্দ্র চালু হয়। সেই সময়ে এই প্রজনন কেন্দ্রের শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধির দায়িত্ব নেন বোম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লন্ডনের ‘রয়্যাল সোসাইটি ফর প্রটেকশন অব বার্ডস’-এর আর্থিক সহযোগিতায় ২০০৬ সালে রাজাভাতখাওয়ায় শকুন প্রজনন কেন্দ্র চালু হয়। সেই সময়ে এই প্রজনন কেন্দ্রের শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধির দায়িত্ব নেন বোম্বে ন্যাচরাল হিস্ট্রি সোসাইটির বিশেষজ্ঞেরা। তবে এই মুহূর্তে অবশ্য শুধুমাত্র বন দফতরই প্রজনন কেন্দ্রটি দেখছে। সূত্রের খবর, হরিয়ানার পিঞ্জরের পরে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হিসাবে ২০১৯ সালে রাজাভাতখাওয়ার এই প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রথম ছ’টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়। ২০২১সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস মিলিয়ে দশটি হোয়াইট ব্যাকড ও ন’টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন আকাশে ছাড়া হয়।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বন কর্তারা জানিয়েছেন, গত তিন বছরে রাজাভাতখাওয়ার শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে মোট ৩১টি হোয়াইট ব্যাকড প্রজাতির শকুন খোলা আকাশে ছাড়া হয়। গতিবিধি বুঝতে যেগুলির পিঠে ও পাখায় অত্যাধুনিক ডিভাইস বা ট্যাগ লাগানো হয়। আর সেগুলির মাধ্যমেই বন কর্তারা গত ডিসেম্বর মাসে বুঝতে পারেন বক্সার গভীর জঙ্গলে দুটি হোয়াইট ব্যাকড প্রজাতির শকুন বাসা তৈরি করেছে। সেই সময়েই ওই বাসায় শকুনের একটি ডিমও নজরে আসে বন কর্তাদের। আর সেই ডিম ফুটিয়েই শকুন ছানাটির জন্ম হয় বলে দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা (পশ্চিম) পরভিন কাশোয়ান বলেন, “রাজাভাতখাওয়ার প্রজনন কেন্দ্রে শকুনের প্রজনন চলছেই। কিন্তু সেই প্রজনন কেন্দ্র থেকে খোলা আকাশে উড়ে যাওয়ার পর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে জঙ্গলে রীতিমতো বাসা তৈরি করে একটি শকুন ছানার জন্ম হওয়া সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রকৃতির মাঝে মিশে গিয়ে শকুনেরা যাতে বংশবৃদ্ধি করে সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy