—প্রতীকী চিত্র।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তানদের নামেই থাকবে সমস্ত বিষয় সম্পত্তি, এমনটাই জানানো হয়েছিল প্রথম পক্ষের ছেলেকে। তাই নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। যার জেরে মঙ্গলবার বাবার হাতে খুন হলেন প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবা সংলগ্ন মিলনপল্লির দুধিয়া গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা বাসুদেব মণ্ডল, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত মিলনপল্লি ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিলাস মণ্ডল (৩২)। অভিযুক্ত বাসুদেবের প্রথম পক্ষের ছেলে বিলাস। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন বাসুদেব। দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জমিজমা, বিষয় সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বচসা থেকে হাতাহতি প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা ছিল ওই পরিবারে। বিলাসকে সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিলেন তাঁর সৎ ভাইবোনেরা। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাঁরা চড়াও হতেন বিলাসের উপর। স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার সকালেও বিলাস চাষের জমিতে কাজ করার সময় এক দফায় হাতাহাতি হয়েছে ভাইবোনেদের মধ্যে। এর পর তাঁর বাবা বাসুদেব ভোজালি দিয়ে আঘাত করেন বিলাসকে। রক্তাক্ত বিলাসকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মিলনপল্লি ফাঁড়ির পুলিশ। বাসুদেব ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত যুবকের স্ত্রী পূর্ণিমা মণ্ডল বলেন, “হঠাৎ করেই বিলাসের বাবা আমার চোখের সামনে ভোজালি চালিয়ে দেন তাঁর পেটে। আমরা মেডিক্যালে নিয়ে যেতে যেতেই সব শেষ। দিনের পর দিন এরা অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে। এদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন গোস্বামী বলেন, “দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জন্যই এই ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় ঝামেলা চলছিল। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি চাই এবং এই ধরনের লোককে আর গ্রামে ঠাঁই দেওয়া হবে না।”
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও পুলিশের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy