বড়দিনের আগে ভিড় গ্যাংটকের মহাত্মা গান্ধী রোডে। ছবি: অমিত মোহান্ত।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সচেতনতায় জোর দিতে বলা হয়েছে। তার মধ্যেই উৎসবের লগ্ন। আজ, রবিবার বড়দিন। এর পরেই বর্ষশেষ, বর্ষবরণের উদ্যাপন। বনভোজন, ঘুরতে যাওয়ার পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। শিলিগুড়িতে গত কয়েক দিনে তারই প্রতিচ্ছবি।
কেকের দোকান থেকে চার্চ— সর্বত্র ভিড় বাড়ছে। জঙ্গলে বনভোজনে কিংবা পাহাড়ে পর্যটনে মাতোয়ারা মানুষ। সকাল থেকে শহরের জংশন এলাকায়, তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে ভিড় হচ্ছে পর্যটরদেরও। দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে, সমতলের সিটি সেন্টার, বড়দিন উপলক্ষে সেজে ওঠা মহাত্মা গান্ধী মোড় বা নৌকাঘাটে শনিবার বড়দিনের আগাম উৎসবের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যা দেখে মনে হচ্ছে, করোনা বিষয়ে সাবধানতা খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না উৎসবমুখর মানুষজনের কাছে। মাস্ক পরার অভ্যাস কার্যত উঠে গিয়েছে। অসচেতন এই আনন্দ যে ভয়ানক পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে, তা চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন। উৎসবের সঙ্গে করোনা-বিধি মানতে বলছেন তাঁরা।
রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় শুক্রবার গজলডোবায় এসে পরামর্শ দিয়েছিলেন, শুধু পর্যটনকেন্দ্রে নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও মাস্ক পরা বিধিসম্মত। বন দফতরের তরফে সচেতনতায় জোর দেওয়া হচ্ছে। করোনা সচেতনতার পাশাপাশি, পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা নিয়েও ফের প্রশ্ন উঠতে চলেছে। শিলিগুড়িতে জঙ্গলের ভিতরে নিয়মবিধি না মেনে প্রায় প্রত্যেক বারই ডিজে-বক্স বাজিয়ে পিকনিকের অভিযোগ ওঠে। বন দফতর সে জন্য এ বার আগাম সতর্ক। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আজ, ডিসেম্বরের শেষ রবিবারে বিভিন্ন জঙ্গলে পিকনিকের আসর বসানোর পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে। মহকুমার বেশ কয়েকটি জঙ্গল এলাকার মধ্যে নিয়মবিধি না মেনে বনভোজনের অভিযোগও উঠেছে।
মেয়র গৌতম দেব বড়দিনের উৎসবের সূচনার পরে বলেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমরা উৎসব করছি। এসজেডিএ, পুরনিগম, পর্যটন দফতর মিলে শহরকে সাজিয়েছি।’’ এ দিন শিলিগুড়ি শহরের বহু রাস্তায় ভাল ভিড় দেখা যায়। উৎসবের আগে ইতিমধ্যে পাহাড় ভিড়ে ঠাসা। মুখে মাস্ক নেই অধিকাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy