—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সম্প্রতি পর পর দু’টি ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ার জেলার বনাঞ্চল বা বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায়। একটি ঘটনায়, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল তিন মহিলার। অন্যটিতে, লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতির হানায় মারা গেলেন এক বনকর্মী।
আলিপুরদুয়ার জেলা-সহ ডুয়ার্সের অন্য প্রান্তে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। অতীত ঘাটলে দেখা যাবে, হাতি বা অন্য বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের এমন সংঘাতের ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে এই এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরণের ঘটনা বেড়েছে। প্রাণহানিও বাড়ছে। ফলে আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। এখন সময় এসেছে, এমন সংঘাত রুখতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়িত করার।
যত সময় এগোচ্ছে, ততই বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। বনাঞ্চলে থাকা একের পর এক গাছ কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। একটি জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে হাতিদের যাতায়াতের করিডরগুলিও দখল হয়ে রয়েছে। এ সবের জেরে বনাঞ্চলে হাতি-সহ একাধিক বন্যপ্রাণীর খাদ্যের সংকট দেখা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের খাদ্যাভাসেও বদল হচ্ছে। সেই কারণেই ধান পাকার সময় হাতির দলকে কৃষিজমি অভিমুখে যেতে দেখা যায়। জঙ্গল বা চা বাগান লাগোয়া স্কুলবাড়ি আক্রমণ করে হাতির দল মিডডে মিলের খাবার সাবার করছে। একই ভাবে এমন এলাকার কোনও বাড়ি বা দোকানেও হানা দিতে দেখা যাচ্ছে হাতিদের। কখনও কখনও তার জেরে হাতি ও মানুষের সংঘাত হচ্ছে। যাতে প্রাণহানিও হচ্ছে।
বিষয়টিকে সহজ ভাবে দেখলে চলবে না। হাতির দল কেন জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে, সেটা সকলেই জানেন বা বোঝেন। তাই এমন ঘটনা এড়াতে এবং হাতি-মানুষের সংঘাত এড়াতে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাতি-সহ অন্য বন্যপ্রাণীদের যাতে জঙ্গলের পরিসরে আটকে রাখা যায়, সে জন্য বনাঞ্চলগুলিকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। হাতি-সহ বন্যপ্রাণীরা যাতে বনাঞ্চলেই বসবাসের পরিবেশ, খাদ্য জোগাড় করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, হস্তি-বিশেষজ্ঞদের অধীনে বনকর্মীদের আরও বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
লেখক: সম্পাদক, আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাব
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy