ঝুলন্ত বন্যাপ্রাণীর পারাপার সেতু, রাজাভাতখাওয়ায়। নিজস্ব চিত্র।
গাছে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীদের জন্য রাজাভাতখাওয়া থেকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ছুঁয়ে বক্সা-জয়ন্তী যাওয়ার পথে, পাঁচটি জায়গায় ‘ঝুলন্ত সেতু’ তৈরি করেছিল বন দফতর। দফতর সূত্রে খবর, তৈরির কয়েক মাস পরেও ওই সেতুগুলি মজবুত রয়েছে। তার জেরে, সড়কে গাড়ির ধাক্কায় বাঁদর, কাঠবিড়ালির মতো ‘বৃক্ষবাসী’ প্রাণীর হতাহতের সংখ্যাও অনেক কমেছে। সেই কারণে এ বার জঙ্গলে তেমনই আরও কয়েকটি সেতু তৈরির কথা ভাবছে বন দফতর।
এ নিয়ে বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গলের গাছে থাকা বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সংঘাত এড়াতে, এবং তাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ওই সেতুগুলি তৈরি করা হয়েছিল। কাঠের পাটাতন, দড়ির মতো হাতের কাছে থাকা সামগ্রী ব্যবহার করে কম খরচে সে সব তৈরি করা হয়। তার পরে, রাস্তার দু’পাশের গাছের সঙ্গে কিছুটা উঁচুতে সেই ‘সেতুর’ দু’প্রান্ত বেঁধে দেওয়া হয়।
দফতরের আধিকারিকেরা জানান, রাজাভাতখাওয়া হয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ওই সড়ক দিয়ে সব সময়েই গাড়ি চলাচল করে। কখনও কখনও গাড়ির ধাক্কায় বন্যপ্রাণী হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তাদের সুরক্ষার কথা ভেবে, এ বার ওই ধরনের সেতুর সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু মাঝি জানান, ‘‘মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সংঘাত এড়াতে কম খরচে জঙ্গলের রাস্তায় এমন পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি পরভিন কাসওয়ান জানান, ওই ধরনের একটি সেতু তৈরিতে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হয়। ওই সড়কে আরও পাঁচটি ঝুলন্ত সেতু তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy