রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিন্হা।
উত্তরবঙ্গের আট জেলার জেলাশাসক, ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিন্হা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করোনা-আবহে মার্চ মাসের পর থেকে সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার মুখে এসে উত্তরবঙ্গের শিল্প পরিস্থিতি কী অবস্থায় রয়েছে তা ব্যবসায়ী এবং বণিক সংগঠনগুলির কাছ থেকে সরাসরি জানার জন্যই ওই বৈঠক করা হয়। তা ছাড়া বৈঠকে বিভিন্ন শিল্পতালুকের পরিকাঠামো, বিদ্যুতের সমস্যা, হিমঘর, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ছাড়, বাংলাশ্রী প্রকল্প, পর্যটন শিল্পের আগামী দিনের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বক্তব্য শোনার পরে জেলাশাসকদের মাধ্যমে সে সব প্রস্তাব দ্রুত নবান্নে পাঠাতে বলা হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে মুখ্যসচিব এবং অন্য দফতরের সচিবদের উত্তরবঙ্গে আসার কথা ছিল। আট জেলার শিল্পের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। উদ্যোক্তা ছিল বণিকসভা কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই)। কিন্তু করোনা সংক্রমণ, টানা লকডাউনের জেরে তা আর সম্ভব হয়নি। সে কারণেই আনলক-পর্বে ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে উত্তরের জেলাগুলির সঙ্গে কথাবার্তা বললেন মুখ্যসচিব। দার্জিলিং জেলার বৈঠক হয়েছে শিলিগুড়ির মহকুমাশাসকের দফতরে।
সিআইআই-র উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান সঞ্জিত সাহা জানান, করোনার প্রভাবে সমস্ত ধরনের শিল্পই ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প আমাদের ভিত্তি। পর্যটন উত্তরবঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন আনলক-পর্বে সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চিন্তাভাবনা এবং কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। বৈঠকে সেই সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’’
কোচবিহার এবং দার্জিলিঙের দুই প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রতিনিধিরা সরাসরি কলকাতা বা নবান্নে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তা এখন সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় এ দিনের ভিডিয়ো বৈঠকে নতুন করে মুখ্যসচিবকে অনেকগুলি বিষয় জানানো গিয়েছে।
এ দিন বৈঠকে বাংলাশ্রী প্রকল্পে আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পংকে কোচবিহারের মতো বিপুল পরিমাণে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রাজ্যের তরফে নাকচ করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, করোনার সঙ্গে লড়াই করে শিল্পকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য সরকার এই প্রকল্প এনেছে। প্রত্যেক জেলার গুরুত্ব, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ছাড়, ভর্তুকি ঠিক করা হয়েছে। কোচবিহার জেলার জন্য বাংলাশ্রী প্রকল্পে ৬০-৭২ শতাংশ অবধি ছাড় রয়েছে। বাকি জেলাগুলির স্তর কম-বেশি রয়েছে। বিদ্যুত সংযোগ, সাবস্টেশন, জমি, পরিবহণ করে ছাড়, পর্যটনের গাইডলাইন, হোম-স্টের জমি এবং ভর্তুকির মতো বিষয়গুলি জেলাশাসকদের মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মেটানোর চেষ্টা করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত তিন মাসে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। বহু ক্ষেত্রে সংস্থার তরফে ব্যবসার ধরন বদল করে অন্য সরঞ্জামের উৎপাদন শুরুর চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের বদল হয়েছে। এ সব করতে গেলে সরকারি স্তরে ফি জমা দিতে হয়। সেই ক্ষেত্রে ছাড়ের প্রস্তাব রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy