শনিবার রাতে মালদহের গৌড় মালদহ স্টেশনের কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পথ দুর্ঘটনায় মৃত সাকিউর শেখের (২০) শোকার্ত পরিবার। রবিবার কালিয়াচকের আলিপুরের শিরোটোলা গ্রামে। ছবি: জয়ন্ত সেন।
শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত আলিপুরের বাড়িতেই ছিল ১৬ বছরের নইম শেখ। তার পরেই বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে যায় সে। রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ মা সাবিনা বিবির সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলে নইম। সে তখন গাড়িতে ছিল। কিন্তু তারপরে থেকেই মোবাইল সুইচড অফ হয়ে যায়। গভীর রাতে পরিবারের লোকজন জানতে পারে সে আর বেঁচে নেই। পথ দুর্ঘটনায় মৃত আলিপুরেরই ২০ বছরের যুবক সাকিউর শেখের পরিবারও জানত না যে শনিবার রাতে সে কোথায় গিয়েছিল। সন্ধে ৭টা পরিযায়ী শ্রমিক সাকিউর বাড়িতেই ছিল। গভীর রাতে বাড়ির লোকজন জানতে পারেন যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। রবিবার সকাল থেকেই সাকিউরের বাড়ি এবং বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় ছিল। ময়নাতদন্তের পর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ বাড়ির সামনে আসতেই ভিড় বাড়ে। শোনা যায় কান্নার রোলও।
এ দিন দুপুরে আলিপুর ম্যানেজড প্রাইমারি স্কুলের উল্টো দিকের রাস্তায় থাকা মৃত নইমের বাড়ির সামনে বাসিন্দাদের ভিড়। সেখানে মহিলারা নইমের মা সাবিনাকে সামলানোর চেষ্টা করছেন। নাইমরা দুই ভাই ও এক বোন। সে বড়। বাবা আহম্মদ শেখ দিনমজুর। সাবিনা বলেন, ‘‘রাত সাড়ে নটায় ভিডিয়ো কলে ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু কিন্তু সেটাই যে শেষ কথা হবে তা জানা ছিল না।" তারই উল্টো দিকেই রাস্তায় কিছুটা দূরে বাড়ি মৃত সাকিউরের। সাকিউরেরা দুই ভাই ও তিন বোন। বাবা জাকির, দাদা আনিউল ও সাকিউর তিন জনেই পরিযায়ী শ্রমিক। বাবা এখন গোয়ায়, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে রওনা দিয়েছেন। হায়দারাবাদে থাকা দাদাও রওনা দিয়েছে। মা আসফিরা বিবিবলেন, "এক বন্ধুর ফোন আসার পর কিছু না জানিয়ে ছেলে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। এ ভাবে যে ছেলের মৃত্যু হবে তা ভাবতেই পারছি না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy