গুলমা চা বাগানে কলম করা( ছাটাই করা) চা গাছে কীটনাশক স্প্রে করার কাজ করতে ব্যস্ত চা বাগানের শ্রমিকরা। ছবিঃ বিনোদ দাস।
তরাই, ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে পুজোর বোনাস নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির নানা টালবাহানার অভিযোগ ওঠে। কখনও নির্দিষ্ট বোনাস না দিয়ে বাগান ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কখনওবা বাগান ক্ষতিতে চলার দাবি করে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বকেয়া না মিটিয়ে কাজ বন্ধ হয় বলে অভিযোগ। কখনও নিয়ম মেনে প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা না দেওয়া তো কখনও ‘টি-টুরিজ়ম’ এর নামে বাগানের জমি দেওয়ার অভিযোগ তুলে শ্রমিক সংগঠগুলি। সেই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় নিয়মের জালে আটকে যায় কিংবা সরকার সরাসরি ব্যবস্থা করতে পারে না। সেই পদ্ধতির বদল এনে এ বারে সরাসরি চা বাগানগুলির উপর নজর রাখতে কমিটি গঠন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, রাজ্যের আট মন্ত্রীকে নিয়ে ‘পরিচালনার আদর্শ প্রক্রিয়া’ (এসওপি) গঠন করা হবে। প্রাথমিক ভাবে সেই কমিটির চেয়ারম্যান শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে করা হয়েছে বলে দাবি। মন্ত্রী গোষ্ঠীর এই কমিটি গঠন হলে সরাসরি বাগানগুলির সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে পারবেন তাঁরা। তাতে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশা দেখছেন শ্রমিকেরা। রবিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘বন্ধ বাগান খোলা থেকে শ্রমিক স্বার্থের কথা ভেবে চা বাগানগুলির সমস্যা সমাধানে সক্রিয় রাজ্য সরকার। সে জন্য কমিটি গঠনের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।’’ তরাই, ডুয়ার্সের বেশ কিছু বাগান বন্ধ। পুজোর আগে তরাইয়ের শিলিগুড়ি মহকুমার ত্রিহানা চা বাগান শ্রমিকদের বকেয়া এবং পুজোর মজুরি না দিয়ে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এখনও খোলেনি। অভিযোগ, শ্রমিকরা নানা সমস্যায় ভুগছেন। সেখানে ঘুরপথে ‘টি-টুরিজ়ম’ এর অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন শ্রমিকরা। অনেক সময় রাজ্যের তরফে সেই সমস্যাগুলি সমাধানে দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং আইনের ফাঁকে দ্রুত সমাধানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয় বলে দাবি। পরিচালনার আদর্শ প্রক্রিয়া চালু হলে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা যেতে পারে বলে দাবি।
লোকসভার আগে চা বাগানে দলীয় সংগঠন মজবুজ করতে এ বার পদযাত্রা করছে আইএনটিটিইউসি। আজ, সোমবার আলিপুরদুয়ারের সঙ্কোশ থেকে শুরু হয়ে ১ মার্চ জলপাইগুড়ির বানারাটে একটি সভার মধ্যে দিয়ে এই পদযাত্রা শেষ হবে বলে জানান ঋতব্রত। দুই জেলার প্রায় প্রত্যেকটি চা বাগানের উপর দিয়ে পদযাত্রার রুট তৈরি করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলার পাহাড় সমতলে পরের ধাপে হবে বলে
তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy