অসুস্থ পড়ুয়াদের খোঁজ নিচ্ছেন বিধায়ক অমল আচার্য। নিজস্ব চিত্র
সরস্বতী পুজোর ভোজ খাওয়ার পরে ইটাহার মারনাই হাইস্কুলের পড়ুয়াদের একাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অসুস্থ সেই পড়ুয়াদের দেখতে গেলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা শিক্ষা দফতরের কর্তারা।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ দেবাশিস মণ্ডল, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস, ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাকেশ মণ্ডল-সহ দুই দফতরের জেলা আধিকারিকেরা ইটাহারের মারনাই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন।
অন্য দিকে, এদিন দুপুরে পৃথক ভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে অসুস্থ পড়ুয়াদের খোঁজখবর নেন ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। তিনি ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মারনাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ জন, ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে ১৯ জন ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩ জন পড়ুয়া ভর্তি রয়েছে। সাহিদা খাতুন নামে বছর তেরোর এক পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, সরস্বতী পুজোর ভোগ খেয়ে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খাবারে বিষক্রিয়ায় জেরেই ওই কাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে সোমবার মারনাই হাইস্কুলে প্রায় দেড়হাজার পড়ুয়াকে ফ্রায়েড রাইস, ডাল, পনীরের তরকারি, পাঁপড় ও চাটনি খাওয়ানো হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, সেই ভোগ খাওয়ার পরে মঙ্গলবার থেকে বাড়িতে পড়ুয়াদের একাংশের পেটের সমস্যা শুরু হয়। অভিভাবকেরা অসুস্থ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করতে শুরু করেন। দু’দিন মিলিয়ে মারনাই এলাকার প্রায় ৫০ জন পড়ুয়াকে অসুস্থ অবস্থায় মারনাই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, গত সোমবার ওই স্কুলের পড়ুয়াদের সরস্বতী পুজোর ভোগ খাওয়ানো হয়। ফলে বুধবার ও এ দিন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা ওই স্কুলে গিয়েও খাবারের নমুনা পাননি। প্রাথমিক তদন্তে পনীরের তরকারি খেয়ে বিষক্রিয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্কুলের তরফে রায়গঞ্জ শহরের বিবিডিমোড় লাগোয়া শনিমন্দির সংলগ্ন একটি দোকান থেকে পনীর কেনা হয়েছিল।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন বিকেলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা পনীরের নমুনা সংগ্রহে ওই দোকানে যান। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, ‘‘দু-এক দিনের মধ্যে ওই দোকান থেকে পনীরের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য কলকাতার একটি গবেষণাগারে পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy