—নিজস্ব চিত্র।
রেললাইনে বসে ভিডিয়ো গেম খেলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় চার যুবকের মৃত্যু উত্তর দিনাজপুরে। রবিবার সন্ধে নাগাদ চোপড়া থানার কনুয়াগছ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। চার যুবকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পুলিশে খবর দেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। কিন্তু রাত পর্যন্তও পুলিশ না-আসায় ঘটনাস্থল থেকে চার দেহ গ্রামে নিয়ে এসে সৎকার করে দেন মৃতদের আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা।
মৃতদের পরিবার জানিয়েছে, ওই চার জনই শ্রমিকের কাজ করতেন। রবিবার রাখি পূর্ণিমার ছুটি থাকায় তাঁরা বাড়িতেই ছিলেন। বিকেল রেললাইন লাগোয়া জলাভূমি থেকে মাছ ধরার জাল তুলতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে ধুমডাঙ্গি আর তিনমাইল স্টেশনের মাঝে কনুয়াগছে ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই চার জনেরই পাবজি-র নেশা ছিল। গ্রামবাসীদের অনুমান, কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে বসে ওই গেম খেলায় মত্ত ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে আপ লাইনে পণ্যবাহী ট্রেন ও ডাউন লাইনে আগরতলা-দেওঘর এক্সপ্রেস আচমকা চলে আসায় তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ওই চার মৃতের মধ্যে দু’জনের নাম রাহুল সিংহ, আর বাকি দু’জন— সৌরভ সিংহ এবং প্রশান্ত সিংহ। চার জনেরই বয়স ১৮-২০ বছরের মধ্যে।
গোটা ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দায় এড়িয়েছেন ঘটনাস্থলের পাশে থাকা রেলগেটের নিরাপত্তারক্ষী। অন্য দিকে, রেল সূত্রে খবর, স্টেশনে নকডাউন মেমো দিয়েছিলেন ট্রেনের চালক। তার পরও দেহ উদ্ধারে এত দেরি হল কেন, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তাঁদের বাড়ির লোকেরা দেহ সৎকার করে দিয়েছেন বলেই খবর পেয়েছি।’’ হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আবিনা টুডু বলেন, ‘‘গতকাল একটু ব্যস্ত ছিলাম। তাই ফোন তুলতে পারিনি। আজ খবর নিলাম। শুনলাম, চার জন মারা গিয়েছেন। এর বেশি কিছু জানি না। আমি এখনও ওই গ্রামে যেতে পারিনি। গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy