পায়ে-পায়ে: পাহাড় পথে। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতায় তাতছে পাহাড়। এর আগে দার্জিলিং শহরে এনআরসি এবং সিএএ-এর বিরোধিতায় মিছিল করেছে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ড। শনিবার দার্জিলিং মোটরস্ট্যান্ড থেকে কার্শিয়াং মোর্টর স্ট্যান্ড পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার পথে মিছিল করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় অনুগামীরা। সকালে ওই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিনয় তামাং। সোনাদা স্টেশন এলাকা থেকে এ দিন র্যালিতে অংশ নেন অনীত থাপাও।
২৯ ডিসেম্বর মোর্চার যুব সংগঠনের বিনয় অনুগামীদের তরফে এনআরসি এবং সিএএ-এর বিরোধিতায় পাহাড়ে ২৪ ঘণ্টার বন্ধ ডাকা হয়েছিল। বড় দিনে পর্যটনের মরসুমে বন্ধ হলে পর্যটকেরা বিপাকে পড়বেন। তা ছাড়া বড়দিন থেকে নতুন বছর পর্যন্ত পাহাড়ের বাসিন্দাদের একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে। ১ জানুয়ারি শালুগাড়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান রয়েছে। পর্যটকদের কথা ভেবে পর্যটন সংস্থাগুলোর সংগঠনের তরফেও মোর্চার কাছে এ সময় বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়। সেই মতো বিনয় তামাং যুব মোর্চাকে অনুরোধ করলে বন্ধ তুলে নেয় তারা।
কিন্তু এনআরসি ও সিএএ-এর বিরোধিতা থেকে যে তারা সরে আসেনি সেই বার্তা দিতে এ দিন পাহাড়ে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে মোর্চা। বিনয় বলেন, ‘‘আমরা এনআরসি এবং সিএএ-এর বিরোধিতা করছি। ভারতীয় নাগরিক হিসাবে বিরোধিতা করছি। দেশ জুড়ে তা নিয়ে বিরোধিতা হলেও কেন্দ্র সরকার কানে শুনছে না, চোখে দেখছে না। আমরা তাই প্রতিবাদ করছি। এ দিনও মিছিল করা হয়।’’ তিনি জানান, খ্রিস্টান সম্প্রদায়, ডুকপা, সিকিমের বাসিন্দাদের উৎসব অনুষ্ঠান রয়েছে। বন্ধ পালন করে মানুষকে যাতে কোনও ভাবেই কষ্ট না দেওয়া হয় তাই প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছেন। এ দিন মিছিলের শুরুতে পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বিনয় অনুরোধ করেন, অন্তত আধা কিলোমিটার নিজেদের এলাকায় হেঁটে তাঁরা সামিল হোক। পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি। দ্বিতীয় দফায় ৫ জানুয়ারি কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ড থেকে দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ড পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে বলেও জানান হয়।
এ দিন মোর্চার মিছিল ছাড়াও হিল তৃণমূলের তরফেও এনআরসি এবং সিএএ’র বিরোধিতায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। দার্জিলিং স্টেশন থেকে চকবাজার পর্যন্ত মিছিল হয়েছে। ৩ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তাতে পাহাড়কে সামিল করাতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy