প্রতীকী ছবি
জেলায় তিন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই রবিবার সকাল থেকে বালুরঘাটে দফায় দফায় বৈঠকে করলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দীর্ঘদিন ধরে ‘গ্রিন জোনে’ থাকা দক্ষিণ দিনাজপুরে একই দিনে কুশমণ্ডি এলাকার ওই তিন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসতেই প্রশাসনের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। জেলায় ফেরার পরে তিন জনকেই সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রের বদলে হোম কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছিল স্বাস্হ্য দফতর। সেই কারণে আক্রান্তদের বাড়ির এলাকা ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।
এ দিন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জানান, জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে। কুশমণ্ডির ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। স্হানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন জনেরই বয়স ২৫-৩০ বছর। এক জন বিহার এবং দু’জন কলকাতায় কাজ করতেন।
শনিবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই তিন জনের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে। সন্ধ্যার পরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অধিকারিকেরা সে কথা জানতে পারেন। কিন্তু তিন জনকেই বাড়ি থেকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করাতে গভীর রাত হয় বলে এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর ৩টে নাগাদ তিন জনকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের পরিজনদের নিয়ে যাওয়া হয় কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। তিন তিন যুবক গ্রামে ফেরার পরে কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন, তার খোঁজ নিচ্ছে প্রশাসন।
করোনা আক্রান্ত তিন জনেরই বাড়ি কুশমণ্ডি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন কলকাতায় কাজ করতেন। সপ্তাহখানেক আগে অন্য জন বিহার থেকে সাইকেল চালিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে কুশমণ্ডিতে ফেরেন। ওই দম্পতির পাশাপাশি আক্রান্ত অন্য এক যুবককে জেলায় ফেরার পরে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। বাকি এক জন, পেশায় লরিচালক কুশমণ্ডিতে ফিরে নিজেই স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য স্হানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়। লালারস সংগ্রহ করে দু’দিন পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy