প্রতীকী ছবি
হোয়্যাটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ফাঁসের চেষ্টার অভিযোগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তিন ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
সোমবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে করণদিঘি ব্লকের করণদিঘি হাইস্কুল ও তিতপুকুর হাইস্কুলে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পরীক্ষা চলাকালীন করণদিঘি হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে বসে এক পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা তাঁর এক আত্মীয়কে পাঠায় বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, তিতপুকুর হাইস্কুলের ওই দুই পরীক্ষার্থী শৌচাগারে গিয়ে মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে স্কুলেরই আংশিক সময়ের এক শিক্ষককে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। করণদিঘি হাইস্কুলের অভিযুক্ত ওই পরীক্ষার্থী করণদিঘির দুয়ারিন হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। অন্য দিকে, তিতপুকুর হাইস্কুলের অভিযুক্ত ওই দুই পরীক্ষার্থী করণদিঘির রাঘবপুর হাইস্কুলের ছাত্র।
পর্ষদ নিযুক্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার পরিচালনার জেলা আহ্বায়ক ব্যোমকেশ বর্মণের বক্তব্য, পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত ওই তিন পরীক্ষার্থীর এ দিনের ও বাকি সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ও তারা যাঁদের প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিল বা পাঠানোর চেষ্টা করেছিল, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
করণদিঘি হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক নভনীল দে-কে ফোন করা হলে এক মহিলা দাবি করেন, নভনীলবাবু অসুস্থ। তিনি কোনও কথা বলবেন না।
তিতপুকুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তথা সেন্টার সেক্রেটারি ভক্তরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘কড়া নজরদারি এড়িয়ে ওই দুই পরীক্ষার্থী কী ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকল, তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
এ দিন মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। অভিযোগ, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাদেড়েক পরে করণদিঘি হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি ক্লাসরুমে নজরদারিতে থাকা এক শিক্ষক ওই পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোনটি আটক করে পর্ষদের প্রতিনিধিদের ঘটনার কথা জানান। তাঁরা এসে ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তার পরীক্ষা বাতিল করেন।
অন্য দিকে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে তিতপুকুর হাইস্কুলের ওই দুই পরীক্ষার্থী একইসঙ্গে শৌচাগারে যাওয়ায় পরীক্ষার নজরদারির দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের সন্দেহ হয়। এর পর তাঁরা বুঝতে পারেন ওই দুই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র নিয়ে শৌচাগারে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিষয়টি ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্ষদের প্রতিনিধিদের জানান। তাঁরা শৌচাগারে গিয়ে ওই দুই পরীক্ষার্থীকে মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে দেখেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ওই দুই পরীক্ষার্থীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তাদের পরীক্ষা বাতিল করে দেন। অভিযোগ, পরে পর্ষদের প্রতিনিধিদের জেরায় ওই দুই পরীক্ষার্থী দাবি করে, ওই স্কুলের আংশিক সময়ের অঙ্কের এক শিক্ষকের কাছে তাঁরা প্রাইভেট টিউশন পড়ে। বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই শিক্ষকের কাছেই তারা প্রশ্নপত্র পাঠানোর চেষ্টা করেছিল।
অভিভাবকদের একাংশের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে গাফিলতি না থাকলে ওই তিন পড়ুয়া মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy