বিতর্কিত পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর ছবির সঙ্গে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্য ও এক তৃণমূল কর্মীর ছবি দেওয়া পোস্টার ঘিরে বিতর্ক ছড়াল। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “আমরা দাদার অনুগামী। সৌজন্যে, রেজাউল হক।” রেজাউল রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য। রবিবার শুভেন্দুর ছবির সঙ্গে রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা রেজাউল ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হবিবুর রহমানের ছবি দেওয়া সেই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড থাকা সত্বেও তাঁর মা বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না, গত ২২ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগ তুলে সরব হন শ্যামপুরহাটের বাসিন্দা হবিবুর। তিনি ওই ভিডিয়োতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন। অস্বস্তিতে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপর এ দিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের রুদ্রখণ্ড ও দেবীতলা এলাকায় শুভেন্দুর ছবির সঙ্গে হবিবুর ও রেজাউলের ছবি দিয়ে একাধিক পোস্টারকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “জেলায় দলের কোনও সক্রিয় নেতা বা কর্মী শুভেন্দুবাবুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেবেন না। কোথাও দ্বন্দ্ব থাকলে, তা আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলা হবে।”
প্রসঙ্গত, দলীয় পদ বিলিতে স্বজনপোষণ-সহ একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে সরব রেজাউল ও অনুগামীরা। সেই থেকে রেজাউলের সঙ্গে রায়গঞ্জ ব্লক-১ তৃণমূল সভাপতি মানসকুমার ঘোষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে বলে অভিযোগ। রেজাউল বলেন, “আমি হবিবুরবাবু-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। বদনাম করতেই মানসবাবু অনুগামীদের দিয়ে ওই দুই এলাকায় একাধিক পোস্টার সাঁটিয়েছেন।”
এ বিষয়ে মানস কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে মানস অনুগামীদের দাবি, “দলে গুরুত্ব বাড়াতে রেজাউল মানসবাবু-সহ দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। নিজেরাই পোস্টার সাঁটিয়ে মানসবাবুর বদনাম করতে চাইছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy