মালদহে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। — নিজস্ব ছবি।
মালদহে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে স্নেহা সাহা নামে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সম্প্রতি স্নেহার বান্ধবী গ্রামেরই একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সেই বন্ধুর পরিবার এ জন্য স্নেহাকে দায়ী করে। তার জেরেই মানসিক অবসাদে ১৭ বছরের ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ স্নেহার পরিবারের। ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রামের। তদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্নেহা ও জ্যোতির মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে জ্যোতির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে নেন জ্যোতি। তার পর থেকেই জ্যোতির বাড়ির লোকজন স্নেহাকে হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। জ্যোতির পালিয়ে যাওয়ার পিছনে স্নেহার হাত আছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, জ্যোতির বাবা ফোন করে মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্নেহার কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তার পরেই স্নেহা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। তার ফলশ্রুতিতে স্নেহার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা বলে দাবি পরিবারের।
স্নেহার বাবা মিন্টু সাহা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের সঙ্গে জ্যোতির অনেক দিনের বন্ধুত্ব। জ্যোতি এলাকারই একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম-ভালবাসা করে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে জ্যোতির পরিবার আমার মেয়েকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করতে থাকে। প্রতি দিনই জ্যোতির বাবা এবং ওঁর বাড়ির লোক আমার মেয়েকে ফোনে হুমকি দিতেন। মেরে ফেলার ভয় দেখানো হত। মেয়েটা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এ ভাবে যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেবে ভাবতে পারিনি। আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিক।’’
বৃহস্পতিবার সকালে স্নেহার মৃতদেহ উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy