ফাইল চিত্র।
জলপাইগুড়ি শহরের চার নম্বর গুমটি লাগোয়া এলাকার একটি বহুতলের নকশা অনুমোদনের জন্য পুরসভায় আবেদন জমা পড়েছিল গত বছর। নকশাটি অনুমোদনের বিবেচনায় আনার জন্য পুরসভা ওই ভবনের কর্তৃপক্ষকে ফি ও বকেয়া কর জমা দেওয়ার নোটিশ দেয় ওই বছরের জুনের শেষে। ফি জমার পরে জমি পরিদর্শন হয়েছিল জুলাইয়ের শুরুতে। সে মাসের শেষে পুরসভা বৈঠক করে নকশা অনুমোদন করে। সব মিলিয়ে ওই অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছিল মাসখানেক। সেই একই পুরবোর্ড এমন দশটিরও বেশি ভবনের নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া সেরেছে ঘণ্টা তিনেকে, নথিগুলিতে তেমনই ইঙ্গিত রয়েছে।
গত ১৭ মে, রবিবার পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। নথি অনুযায়ী, ১৬ মে, শনিবার (পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগে শেষ কাজের দিন) অনুমোদিত হয়েছিল ওই ভবনগুলির নকশা। পুরসভার নথি অনুযায়ী ১৬ মে’র দিন চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফি জমা করতে বলা হয়েছিল। সেই চিঠিতে পুর কর্তৃপক্ষ লিখেছেন, ফি জমার পরে ভবনের নকশা অনুমোদন করা হবে কি না, তা বিবেচনায় আনা হবে। পুরসভায় কাজ শুরু হয় সকাল ১১টায়। নথি অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, দুপুর দেড়টা নাগাদ ফি জমা হয়েছে। অর্থাৎ ফি’র চিঠি লেখা, তাতে পুর কর্তৃপক্ষের সই করানো, পত্রবাহককে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে চিঠি পৌঁছনো এবং তার পরে ফি জমা দেওয়া প্রক্রিয়া আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়েছে। এর পরে বাকি থাকে পরিদর্শন এবং অনুমোদনের জন্য বৈঠক করা। নথি অনুযায়ী ১৬ মে-তেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে অনুমোদনের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পুরসভা খোলা থাকে। সেই হিসেবে ফি জমা দেওয়ার পরে বাকি প্রক্রিয়া আধ ঘণ্টার মধ্যে শেষ হতে হবে। পুরসভার একটি সূত্রের দাবি, ১৬ মে পুরকর্মী-আধিকারিকদের কেউ কেউ দুপুর দু’টোর পরে থেকে নথিপত্র তৈরি করে দিয়েছেন, এমনটাও হতে পারে।
জলপাইগুড়ি পুরসভায় দীর্ঘদিন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেনগুপ্ত। তাঁর প্রশ্ন, “এত তাড়াহুড়ো করার কী ছিল? শেষ দিনে যে ভবনগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সবই বহুতল এবং বাণিজ্যিক। কোনও ব্যক্তিগত বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কেন হয়নি? তার মানে কী পর্দার আড়ালে কোনও লেনদেন হয়েছে?”
জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “আমরা পুরসভার বর্তমান পরিচালনমণ্ডলীর কাছে আবেদন করব, তাঁরা যাতে আগের বোর্ডের মেয়াদ শেষের দিনে পাশ হওয়া নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়াগুলি ফের পর্যালোচনা করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy