চা শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি গঠনে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে না, উল্টে রাজ্য সরকারের তরফে মালিকপক্ষেরই স্বার্থ দেখা হচ্ছে--এই অভিযোগ করে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা ঘোষণা করল ২৪টি চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথমঞ্চ। মঙ্গলবার ডুয়ার্সের চালসায় দীর্ঘ বৈঠক করেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর তাঁরা চলতি মাসের শেষে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান। একই সঙ্গে চলতি মাসের শেষেই কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন তাঁরা। এ ছাড়া গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর আয়োজিত সর্বশেষ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে খসড়া চুক্তিপত্র প্রদান করে রাজ্য শ্রম দফতর তার ভিত্তিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির মতামত লিখিত প্রস্তাব আকারে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে জানতে চেয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাই শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভপ্রকাশ করা হবে বলেও এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক জিয়াউল আলম।
এদিনের বৈঠকে সর্বশেষ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ন্যূনতম মজুরির কথা উল্লেখ করা হলেও তার প্রয়োগের সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তাতে যে ধোঁয়াশা রাখা হয়েছে এবং তিন বছরে মোট ৪০ টাকা মজুরি বাড়াবার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে চা শ্রমিকেরা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। সে কারণেই এই খসড়া প্রস্তাবকে কালো খসড়া চুক্তি বলেও যৌথমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে। চা বলয়ের এলাকার সমস্ত সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজ্যের চা শিল্প নিয়ে কথা বলতেও অনুরোধ করা হবে। পাশাপাশি দ্রুত জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে দেখা করে আন্দোলনে তাঁকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার জন্যও অনুরোধ করা হবে বলে এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে চা শিল্পে বাত্সরিক ছুটি পড়লেই পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্স জুড়ে সব চা শ্রমিকদের নিয়ে পদযাত্রার আয়োজন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy