আশিস মণ্ডল
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ‘অপহৃত’ হলেন এক যুবক। শুক্রবার দুপুরে মালদহের ইংরেজবাজার থানার মোহজমাপুর গ্রামের এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও ওই যুবক, আশিস মণ্ডলের খোঁজ মেলেনি। সেই রাতেই ইংরেজবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন ওই যুবকের দাদা সৌমেনবাবু। তাঁর অভিযোগ, “থানা থেকে ফেরার পরে ভাইয়ের ফোন থেকেই ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি ফোন আসে। সে কথাও পুলিশকে জানিয়েছি।” জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ওই যুবককে অপহরণ করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে। তাঁকে খুঁজতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছাব্বিশের আশিসবাবু বিএড পাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার জন্য বাড়িতেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর বাবা কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান। তাঁর মা রেখাদেবী তিন কিলোমিটার দূরের স্থানীয় মাদাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। শুক্রবার বেলা এগারোটা নাগাদ মাকে স্কুলে পৌঁছতে গিয়েছিলেন আশিসবাবু। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পথে মহিমাপুর ও জগদীশবাটি গ্রামের মাঝে ফাঁকা রাস্তায় তাঁর উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। এলাকার বাসিন্দারা জানান, গোলমাল শুনে আসতে গিয়ে তাঁরা দেখেন আশিসের সঙ্গে কয়েক জন যুবকের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। তাঁরা কাছে পৌঁছনোর আগেই একটি সাদা ছোট গাড়িতে আশিসবাবুকে তুলে নিয়ে পালায় ওই যুবকেরা। আশিসবাবুর মোটরবাইকটি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন এলাকাবাসী।
পুলিশি তল্লাশিতে শনিবার মানিকচকের ফুলহার নদীর শঙ্করটোলা ঘাটের পাশ থেকে একটি পরিত্যক্ত ছোট সাদা গাড়ি উদ্ধার হয়। ইংরেজবাজার থানার আইসি দিলীপ কর্মকার বলেন, “উদ্ধার হওয়া গাড়ির নম্বর প্লেট ভুয়ো। অপহরণকারীরা ফুলহার ও গঙ্গা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড বা বিহারে পালাতে পারে। সেখানকার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।” এ দিন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বাড়িতে যান আশিসবাবুর পরিজন ও প্রতিবেশীরা।
আশিসবাবুর দাদা স্কুলশিক্ষক সৌমেনবাবু বলেন, “আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কেন এটা ঘটল বুঝতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy