পাহারাবিহীন মন্দিরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের পরিচালিত সংস্থার হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। সম্প্রতি বোর্ডের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। জুলাইয়ের মধ্যে বোর্ডের অধীন অন্তত ১০টি প্রাচীন মন্দিরে ওই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীদের একাধিক সংগঠনকে চিঠি দেন দেবোত্তর কর্তৃপক্ষ। সোমবার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা জেলাশাসক পি উলগনাথন বলেন, “বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে সমস্ত মন্দিরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো হবে।” দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য তথা কোচবিহারের সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা বলেন, “বোর্ডের অধীন কিছু মন্দিরে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা নেই। সেগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
দেবোত্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ট্রাস্টি বোর্ডের আওতায় ২৯টি মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ২২টি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৬টি মন্দিরে পুলিশ পাহারা রয়েছে। দু’একটি মন্দিরে নৈশপ্রহরী থাকলেও বেশিরভাগ মন্দিরে তা নেই। দীর্ঘদিন ধরে ওই সব মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে টালবাহানায় গত কয়েক বছরে কোচবিহারের মদনমোহন বিগ্রহ চুরি, সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে অষ্টধাতুর প্রাচীন কালী বিগ্রহ চুরি, তুফানগঞ্জের নাটাবাড়িতে বলরাম মূর্তি, রাজমাতা মন্দিরে অলঙ্কার সামগ্রী লুঠ, মাথাভাঙা মদনমোহন মন্দিরের প্রণামীর বাক্স ভেঙে টাকা চুরির মত একাধিক ঘটনা ঘটে। কয়েক বছর আগে গোসানিমারির কামতেশ্বরী মন্দির, অয়রাণী চিতলিয়া মন্দিরে চুরির ঘটনা হয়েছে। বোর্ডের এক কর্তার কথায়, “এর জন্য প্রাক্তন সৈনিকদের পরিচালিত সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও সদস্যদের একাংশ জোরালো সওয়াল করেছেন। অন্য অংশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখার পক্ষপাতি। বিষয়টি দেবোত্তর কর্তারা আগ্রহীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন। ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় কোচবিহারের রাজমাতা মন্দির, তুফানগঞ্জের এবং মাথাভাঙার মদনমোহন দেবের মন্দির, ধলূয়াবাড়ি শিব মন্দির, নাটাবাড়ি বলরাম মন্দির, ষণ্ডেশ্বরের মন্দির-সহ ১০টি মন্দিরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখার পরিকল্পনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy