সূর্য সেন কলোনি ডি-ব্লকে সিপিএমের এক নেত্রীকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে থানায় জানানো সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ। অম্বিকানগর লাগোয়া পাঁচকেলগুড়ি এলাকায় নতুন করে সাইনবোর্ড লাগানো হচ্ছে, কিন্তু অভিযোগ করার দু’দিন পরেও পুলিশ এলাকাতেই যায়নি। ফুলবাড়ি এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু থানায় জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না কোনও। অভিযোগ, সিপিএম নেতা-কর্মীদের। কংগ্রেসের পক্ষে আবার অভিযোগ জানানো হয়, প্রতিটি নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে সংযোজিত এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বুথের বাইরে জটলা রুখতে পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানান তাঁরা।
শুক্রবার সকালে ভক্তিনগর থানার নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে সব দলকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেখানেই এই অভিযোগ করেন কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ শুনে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাও এমন হওয়ার কথা নয় বলে জানান। এ দিন সমস্ত দলের প্রতিনিধিদের পুলিশ, বিডিও, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের টোল ফ্রি নম্বর সম্বলিত তালিকার প্রতিলিপি দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
কমিশনার অবশ্য এমন হওয়ার কথা নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে ঠিক কী হয়েছে আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। পুলিশ সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে।’’ তিনি জানান, পুলিশ, জেলাশাসক, বিডিও বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছেও অভিযোগ করা যাবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা মানুষকে সাহায্য করতে চাইছি। শান্তিপূর্ণ ভোট না হলে সেটা আমাদেরই ব্যর্থতা। বিরোধীদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলব এমসিসিকে।’’ নির্বাচন কমিশনও নজর রাখছে বলে জানান তিনি।
আইএনটিটিইউসির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি জয়দীপ নন্দী অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেন, অনুমতি থাকলেও তাঁদের হোর্ডিং খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। সিপিএমের ২ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণা পালের অভিযোগ, ‘‘বেআইনি হোর্ডিং খোলানো, আমাদের কর্মীকে রাতে গিয়ে হুমকি দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে পুলিশ গড়িমসি করছে।’’ অভিযোগের একদিন, দু’দিন পরে কখনও এলাকায় যাচ্ছে কখনও যাচ্ছেই না বলে অভিযোগ তাঁর।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই অভিযোগ সমর্থন করা হয়েছে। এ দিন টাউন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিন্টু দাস পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন।
বৈঠকের পর বাড়িভাসা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ রুট মার্চ করে। ভোট দিতে কোনও অসুবিধা হয় কিনা তাও বাসিন্দাদের কাছে জানতে চান। তবে বেশিরভাগ মানুষই হঠাৎ এলাকায় ইনশাস ও একে-৪৭ ধরা বা সশস্ত্র পুলিশের এত বড় বাহিনী দেখে ভয়ে মনের ভাব প্রকাশই করতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy