প্রতি সপ্তাহে এখন দেড় হাজারের বেশি ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। প্রতীকী ছবি।
শুধু প্লেটলেট দেওয়ার জন্য ডেঙ্গি আক্রান্ত কোনও রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা যাবে না। সরকারি স্তরের যে হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন, প্রয়োজনে সেখানেই তাঁকে প্লেটলেট দিতে হবে। রাজ্যে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পরিকাঠামো সংক্রান্ত বৈঠকে সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দিন কয়েক আগে স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই এমন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আরও জানা যাচ্ছে, ওই আলোচনাতেই উঠে এসেছে চলতি বছরে বেশি সংখ্যক শিশুও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রত্যেক জেলাশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজোর ছুটির সময় জেলার সরকারি ও পুর হাসপাতালগুলির উপর নজর রাখতে। আবার, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগীর উপর সরাসরি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্লেটলেট কাউন্ট -সহ সব ধরনের রক্তপরীক্ষার সুবিধা রাখা হচ্ছে মহকুমা স্তর এবং কিছু গ্রামীণ ও ব্লক হাসপাতালে। এক স্বাস্থ্য কর্তা জানাচ্ছেন, ব্লক হাসপাতাল স্তর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছে অ্যালাইজ়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গি পরীক্ষার পরিকাঠামো। ল্যাবের সংখ্যা ৮৫ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বৈঠকে জানানো হয়, বিগত পাঁচ সপ্তাহ ধরে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের পজ়িটিভিটি রেট ঊর্ধ্বমুখী। তাই ওই জেলাগুলিকে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্যে ৫১টি পুরসভা প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ বা তার বেশি। স্বাস্থ্য ভবনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে এখন দেড় হাজারের বেশি ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy