শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর, কলকাতা-সহ অন্তত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার পরে বারাসতে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মসৃণ ভাবেই সমাবর্তনে যোগ দিতে পেরে বিস্মিত হয়েছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ, বৃহস্পতিবার সিধো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপালের নাম নেই। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও বিতর্ক নেই। কোনও বিতর্ক থাকলে জানি, কী ভাবে জল ঢেলে দিতে হয়।’’
রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাখ্যা, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত-বিতর্কের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী কিছু দিন আগে রাজভবনে গিয়েছিলেন। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। তার পরেই তাঁর কাছে আটকে থাকা উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু ফাইলে সই করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী এ দিন এই বিষয়টির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। এ দিন সিধো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ওঁকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি সম্মাননীয় ব্যক্তি। তিনি এলে খুশি হব। না-হলেও তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আমি আছি। কার্ডে তো শিক্ষামন্ত্রীর নামও থাকে না।’’
সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে কেন রাজ্যপালের নাম নেই, সিধো-কানহু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর সেই বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যপালকে নিয়ম মেনে সমাবর্তনের খবর দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষই এখন সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। যোগাযোগ করতে হবে উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে। রাজ্যপালকেও ঠিক একই ভাবে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছে সমাবর্তনের সব তথ্যই এসেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর মারফত। কিন্তু রাজ্যপাল বৃহস্পতিবারেই দিল্লি যাচ্ছেন বলে সমাবর্তনে যোগ দিতে পারছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy