রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা-ই হোক, নরেন্দ্র মোদীর সরকার উন্নয়নে কোনও আপস করতে চায় না বলে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে জমি অধিগ্রহণ ও জবরদখলের মতো সমস্যার জন্য ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ নানা প্রকল্প আটকে রয়েছে। এই জট ছাড়াতে তিনি নিজে কলকাতা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ, রাজ্যগুলির সাহায্য ছাড়া কেন্দ্রের পক্ষে একতরফা ভাবে এগোনো সম্ভব নয়।
গডকড়ী আজ দিল্লি থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক টেলিকনফারেন্সে জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে সড়ক প্রকল্প-সহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিজেপি, তৃণমূল নিজেদের রাজনীতি করবে। কিন্তু উন্নয়নে আমরা রাজনীতি চাই না।” গডকড়ী জানান, সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদদের একটি দল দেখা করেছিলেন। তখনও উন্নয়নকে রাজনীতির ছোঁয়াচ থেকে বাঁচানোর কথা বলেছিলেন। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তাঁকেও এই কথাই বলবেন।
গডকড়ী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো কিছু প্রকল্প আটকে রয়েছে। কারণ জমি অধিগ্রহণ, জবরদখল ও রাজনৈতিক বাধা। এগুলি কাটাতে রাজ্যের সাহায্য প্রয়োজন।” তিনি জানান, আটকে থাকা প্রকল্পের বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও কেরলে। তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্যগুলির সাহায্য ছাড়া কী ভাবে এগোনো সম্ভব?” কলকাতায় এসে তিনি ‘রাজ্য সহায়তা চুক্তি’ (স্টেট সাপোর্টিভ এগ্রিমেন্ট) কার্যকর করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন গডকড়ী। ওই চুক্তির মাধ্যমে সড়ক প্রকল্পে রাজ্যের সাহায্য নেয় কেন্দ্র।
দিল্লিতে বসে থাকা অল্প কিছু বিরোধী নেতার জন্যই জমি অধিগ্রহণ আইনে পরিবর্তন আনার কাজ আটকে রয়েছে বলে দাবি গডকড়ীর। তাঁর দাবি, অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই ওই আইনে পরিবর্তন চান। কিন্তু তাঁদের দলেরই দিল্লিবাসী কিছু নেতা অন্য সুরে কথা বলছেন।
জমিদাতা কৃষকদের স্বার্থ বলি দিয়ে জমি অধিগ্রহণ আইনকে শিল্প মহলের পক্ষে আরও উপযোগী করে তোলা হচ্ছে বলে দাবি কোনও কোনও শিবিরের। সে কথা মানতে চাননি গডকড়ী। তিনি বলেন, “আমরা বরং জমিদাতা কৃষকদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছি।”
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রধান বিরোধীর স্থান দখল করতে চাইছে বিজেপি। সারদা-সহ নানা বিষয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক লড়াই চলছে। অন্য কিছু রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গেও সমস্যা রয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের কথা বলে দিল্লির গদি দখল করেছেন মোদী। এখন রাজ্যে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ আটকে থাকলে মুখ পুড়বে কেন্দ্রের। তাই রাজ্যগুলির সাহায্য চেয়ে বার্তা দিলেন গডকড়ী। এ বার কোনও রাজ্যের শাসক দল পদক্ষেপ না করলে তারাও উন্নয়নে ঘাটতির দায় এড়াতে পারবে না। রাজ্যগুলি কী জবাব দেয়, তা-ই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy