কামদুনি কাণ্ডে ‘বিচার’ চেয়ে মিছিল ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে গান্ধী-মূর্তি পর্যন্ত। —ফাইল চিত্র।
কামদুনির নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াল নির্ভয়ার পরিবার। কামদুনির মেয়ে যাতে তাঁর মেয়ের মতোই সুবিচার পায়, সে জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন নির্ভয়ার মা। আজ নির্ভয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আগে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করে পরে সন্ধ্যায় যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেন কামদুনির প্রতিবাদীরা।
হাই কোর্টের রায়ে হতাশ কামদুনির প্রতিবাদীরা সুবিচারের আশায় গত কালই দিল্লি এসেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশন দেওয়ার লক্ষ্যে গত কাল বিকালে মৃতার পরিবারের সদস্য, টুম্পা ও মৌসুমী কয়ালেরা বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ সকালে কামদুনির ঘটনা জানাতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন প্রতিবাদীরা। সূত্রের মতে, বৈঠকে প্রতিবাদীরা জানান, অভিযুক্তরা ছাড়া পাওয়ার ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার হাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলেও প্রতিবাদীরা রাজ্য সরকারের উপরে কোনও রকম আস্থা রাখছেন না বলে রেখা শর্মাকে জানানো হয়। বৈঠকের পরে রেখা শর্মা বলেন, ‘‘কামদুনির প্রতিবাদীদের ও নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে যাতে প্রতিহিংসাবশত কোনও ধরনের অভিযোগ দায়ের করা না হয়, তার জন্য রাজ্য পুলিশকে চিঠি লিখবে জাতীয় মহিলা কমিশন।’’
তবে কামদুনির বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন, তাই এ ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও হস্তক্ষেপ করবে না কমিশন। কিন্তু প্রয়োজনে কামদুনির তদন্ত ফের করা যায় কি না, সে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও আদালতকে চিঠি লিখে জানাবে তারা।
পরে নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিবাদীরা। যে ভাবে অভিযুক্তেরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন, তাতে দুষ্কৃতীদের মনোবল আরও বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন নির্ভয়ার মা। সূত্রের মতে, তিনি প্রতিবাদীদের বলেন, ‘‘এ ধরনের সিদ্ধান্তে দুষ্কৃতীরা ভাবছে, যা ইচ্ছে অপরাধ করলেও পাঁচ-দশ বছর পরে তারা ছাড়া পেয়ে যাবে। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আদালতকেও ভাবতে হবে।’’ নির্ভয়ার মায়ের মতে, ‘‘ধর্ষকদের তো জামিন দেওয়াই উচিত নয়। এদের জেল থেকে বার হওয়া মানেই সমাজের জন্য বিপদ। মেয়েদের জন্য বিপদ। এদের মুক্ত করে দেওয়ার অর্থই হল সমাজে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’’
পরে সন্ধ্যায় যন্তর মন্তরে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান কামদুনির প্রতিবাদীরা। যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসে মৌসুমি কয়াল বলেন, ‘‘তদন্তের নামে সিআইডি পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। তাই দিল্লি আসতে হয়েছে সুবিচারের আশায়।’’ এ দিন সন্ধ্যায় প্রতিবাদীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের পিটিশন অনলাইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy