নিমতিতা বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। —ফাইল চিত্র
নিমতিতা বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তভার নিচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ১৭ ফেব্রুয়ারে নিমতিতায় বিস্ফোরণের পরে পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এনআইএ-র গোয়েন্দাদের একটি দল। তথ্যপ্রমাণ ও নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। খাগড়াগড়ের পর দ্বিতীয় বার রাজ্যের কোনও ঘটনায় সরাসরি তদন্তভার নিচ্ছে এনআইএ।
নিমতিতা-কাণ্ডে ধৃত ৩ জনের মধ্যে এক বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণের পিছনে বাংলাদেশি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। সেই সম্ভাবনার সূত্র ধরে তদন্তও করছিলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। তার মধ্যেই এনআইএ তদন্তের খবরে এই বিস্ফোরণ-কাণ্ড অন্য মাত্রা পেল। বাংলাদেশি জঙ্গি-যোগ থাকার সম্ভাবনা উঠে আসাতেই তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতার ট্রেন ধরতে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেই সময়ই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন জাকির-সহ অন্তত ২৩ জন। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেন বম্ব স্কোয়াড ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। ঘটনার তদন্ত নেমে ইতিমধ্যেই ৩ জনকে জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবারও সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সইদুল ইসলাম জেরায় স্বীকার করেছে, পুরনো শত্রুতার কারণেই মন্ত্রীর উপর হামলার ছক কষেছিল তারা।
বিস্ফোরণ বা অন্য কোনও ঘটনায় জঙ্গি যোগ থাকলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত করতে পারে এনআইএ। যেমন ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্ত করেছিল কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। খাগড়াগড়েও বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy