Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
NIA

বীরভূমে দুই বিস্ফোরণের তদন্তে এ বার এনআইএ

সূত্রের খবর, বাবলুর বাড়িতে বিস্ফোরণের তদন্তভার জেলা পুলিশের হাতে থেকে সিআইডির হাতে যায়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share: Save:

খাগড়াগড়ের পরে ফের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র নজরে বীরভূম। গত বছর জেলার দু’টি পৃথক বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার এনএইএ-র একটি দল বীরভূমের লোকপুর থানার গাংপুর গ্রামে বাবলু মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিল। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর বাবলুর টিনের চালের বাড়িটি বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এনআইএ যায় সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামে। গত বছর অগস্টে ওই গ্রামের বাসিন্দা, স্থানীয় সাহাপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হাইতুন্নেসা খাতুনদের গোয়াল ঘর উড়ে গিয়েছিল বিস্ফোরণে।

সূত্রের খবর, বাবলুর বাড়িতে বিস্ফোরণের তদন্তভার জেলা পুলিশের হাতে থেকে সিআইডির হাতে যায়। সিআইডি তদন্ত চলাকালীন সেপ্টেম্বর মাসে এনআইএ ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয়। ওই ঘটনায় বাবলু ছাড়াও তাঁর দুই ছেলের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। বর্তমানে তাঁরা জামিনে রয়েছেন বলে গোয়েন্দারা জানান। অন্য দিকে, রেঙ্গুনি গ্রামে প্রধানের গোয়াল ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রধানের বাবা, তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি শেখ বদরুদ্দোজা। তাঁর বিরুদ্ধে বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগ ছিল। এ দিন, এনআইএ-র তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পরে নমুনা সংগ্রহ করেন।

বীরভূমে গত কয়েক বছরে বিস্ফোরণে ধুলিসাৎ হয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা (মূলত শাসক দলের) বাড়ি, গোয়ালঘর, ক্লাব, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত আবাসন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন কিংবা ক্লাবঘর। গত বছর ইলামবাজার, মল্লারপুর, দুবরাজপুর, কাঁকরতলা-সহ একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে শুধু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন নয়, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। জেলা পুলিশের অন্দরে প্রশ্ন, আরও বিস্ফোরণের তদন্তও কি করবে এনআইএ? বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘দু’টিই পুরনো মামলা। আর কোথাও তারা যাবে কিনা, সেটা এনআইএ ভাল বলতে পারবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE