সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
ভয় নিয়ে শুরু, ভয়ে-ভয়েই শেষ। সেই সঙ্গে দুই ‘আমি’-র টানাপড়েন। এ ভাবেই আস্ত একটা বছর গড়িয়ে গেল!
এক ‘আমি’ খুব হুঁশিয়ার। সে সর্বক্ষণ সাবধানবাণী শুনিয়ে গিয়েছে। নিজেকে শিখিয়েছে সংযত হতে, মাস্ক পরতে, অকারণ উল্লাসে গা ভাসিয়ে ঝুঁকি না বাড়াতে। আর অন্য ‘আমি’ বেপরোয়া। তাই তর্ক জুড়েছে। সতর্কতা হেলায় উড়িয়ে চ্যালেঞ্জ করে বোঝাতে চেয়েছে, প্রতিষেধকের দু’টো ডোজ় নেওয়ার পরে নো চিন্তা!
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল! যে বিষ নিয়ে বিশ সাল শুরু হয়েছিল, একুশ-শেষেও তো তার ক্ষয় নেই।
বরং নতুন গোত্রের ভাইরাসে নতুন ভাবে শক্তি সঞ্চয় করে অতিমারির দাপট আমাদের ধাওয়া করেই চলেছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে শঙ্কা, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়েই আজ আরও একটি বছর পেরোতে হচ্ছে আমাদের। সময় তাই খুব সুখের বলা যাবে না।
তবু আনন্দ জাগে। যখন দেখি, ফেলে আসা বছরের খাতায় বাংলা ও বাঙালির প্রাপ্তির পরিমাণ নেহাত শূন্য নয়। যা কোনও না কোনও ভাবে এগিয়ে চলার প্রেরণাও বটে।
যেমন, বিজ্ঞান সাধনায় বাঙালি কয়েক বছর ধরেই নিজের উৎকর্ষের প্রমাণ দিচ্ছে। সেই ধারা অব্যাহত। স্বীকৃতির সারণিটিও এ বার বেশ দীর্ঘ। সম্মান, পুরস্কার সবেতেই বাঙালির পাল্লা যথেষ্ট ভারী।
তবে তার আগে বলা যাক কলকাতার দুর্গোৎসবকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিদানের কথা। বঙ্গসমাজে এটি এ বার অন্যতম খুশির খবর। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির চিরকালীন ও সব চেয়ে বড় আবেগ।
কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো এ বার ‘আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে মান্যতা দেওয়ার পরে কেউ কেউ হয়তো এর মধ্যে ঈষৎ রাজনৈতিক বিতর্কের মশলা খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে চেয়েছেন স্বীকৃতির মাপকাঠি নিয়েও। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আপামর বাঙালির কাছে এ সব কিছুই বিবেচ্য হয় নি। বছর শেষের এই প্রাপ্তির আমেজটুকু বাঙালি উদ্যাপন করছে নিজের মতো করে।
২০২১-এর বাঙালি গর্ব করে বলতে পারে, তারা পাথরে প্রাণের সন্ধানে ব্রতী! সিংভূমের পাথরে প্রাণের সন্ধান করতে গিয়ে ভূতত্ত্বে এ বার বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিন ভূবিজ্ঞানী রজত মজুমদার, ত্রিস্রোতা চৌধুরী ও প্রিয়দর্শী চৌধুরী।
বিজ্ঞানচর্চায় দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভাটনগর পুরস্কারে এ বছরেও বাঙালির জয়জয়কার। পুরস্কৃত পাঁচ বঙ্গসন্তান হলেন— রসায়নে কণিষ্ক বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যায় কনক সাহা, গণিতে অনীশ ঘোষ, জীববিদ্যায় শুভদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দেবদীপ মুখোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এ বার দেশের ‘তারকা’ বিজ্ঞানীদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেও আট জন বাঙালি। তাঁরা হলেন: সায়ন ভট্টাচার্য, রাজীব গোস্বামী, সুতীর্থ দে, সমৃদ্ধিশঙ্কর রায়, পিনাকীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, শান্তনু মুখোপাধ্যায়, হীরক চক্রবর্তী ও সৌরভ দত্ত।
এ ছাড়াও বরাহনগরের আইএসআই-এর গণিতবিদ, ৩৭ বছরের নীনা গুপ্ত এ বার রামানুজন পুরস্কার পেয়েছেন। ক্রোমোজম সংক্রান্ত গবেষণায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপক বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের বিজ্ঞানী সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়। বছরের শেষবেলায় জিন বিষয়ক গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে নিলেন ওই সংস্থারই আর এক বিজ্ঞানী শ্রীমন্ত গায়েন।
কৃতিত্ব আছে চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণাতেও। শিশু চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণায় বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন উজ্জ্বল পোদ্দার। সিলিকোসিস নির্ণয়ের কিট আবিষ্কার করে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে নজর কেড়েছেন শ্যামসুন্দর নন্দী।
সাহিত্য ও শিল্পকলায় এ বারেও বলার মতো নতুন কিছু নেই। তবে লেখক শঙ্কর (মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়) এবং নাট্যকার হিসেবে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। আর এ বারেই অকাদেমির ফেলো হয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ থাক চার দশকের কাজ নিয়ে ‘সিমা’ গ্যালারিতে পরেশ মাইতির প্রদর্শনীর। জলরঙের কাজ ছাড়াও সেখানে ছিল ইনস্টলেশন।
বলা হয়, রাজনীতি নাকি বাঙালির মজ্জায়। সেই রাজনীতি নিয়ে বিদায়ী বছরের অনেকটা সময় বাঙালি মেতে ছিল, তেতে ছিল এবং মজে ছিল। সমাজ-জীবনের কেন্দ্রে তখন শুধুই রাজনীতি! সাম্প্রতিক কালে এতটা উত্তপ্ত রাজনৈতিক বছর দেখা যায়নি। সৌজন্য, বাংলার বিধানসভা নির্বাচন।
ভোটের ফল আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। তবে বিপুল গরিষ্ঠতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফিরে আসার পিছনে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ প্রচারের ভূমিকা যদি থেকে থাকে, তাহলে বলতেই হবে, ২০২১-এর ভোটে বাংলার জনগণ ‘জাত্যভিমান’ জাহির করেছে।
২০২১ আরও এক রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাল। এই প্রথম বাংলার ক্ষমতাসীন আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেস আক্ষরিক অর্থে রাজ্যের বাইরে সক্রিয় ভাবে পা বাড়াল। প্রতিবেশী বাঙালি রাজ্য ত্রিপুরা তো বটেই, উত্তর-পূর্বে মেঘালয় এবং পশ্চিমে গোয়ায় তাদের উপস্থিতি এখন আলোচনার বিষয়। যেমন আলোচ্য আগামীদিনের জাতীয় রাজনীতিতে মমতার ভূমিকা।
এই সূত্রেই জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কর্তৃত্বপূর্ণ’ পদার্পণও ঘটল এ বার।
ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে গত বছর শিরোনামে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতাকে হারিয়ে তাঁর জেতা বাংলার রাজনীতিতে এই বছরের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যদিও এ নিয়ে মামলা বিচারাধীন। পাশাপাশি, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়ে শুভেন্দু তাঁর প্রাধান্য বাড়িয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও এই বছর সামনে চলে এলেন। বালুরঘাটের সাংসদ থেকে তাঁর এই হঠাৎ উত্তরণ নজর এড়ায়নি।
বাংলার চলচ্চিত্র শিল্প অতিমারির জের কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সিনেমা হলে দর্শকের নিয়ন্ত্রণ জারি আছে। ছবি যা হয়েছে, তা-ও মাঝারি বাজেটের। তার মধ্যেই আবার নতুন করে আশঙ্কার ছায়া।
বাংলার অনেক শিল্পীই এই সময়কালে মুম্বই এবং চেন্নাই পাড়ি দিয়েছেন। বিক্রম মোটওয়ানের পরিচালনায় ‘স্টারডাস্ট’ দিয়ে এ বছরেই হিন্দি ওয়েবে পা রেখেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ‘আরণ্যক’ ছবিতে রবিনা টন্ডনের সঙ্গে কাজ করলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সলমন খানের মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অন্তিম:দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিতে খলচরিত্রে দেখা গেল যিশু সেনগুপ্তকে। বলিউডে কঙ্গনা রানওয়াত, অনুরাগ কাশ্যপ, অনিল কপূরদের সঙ্গে কয়েকটি কাজ করলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। হিন্দি ছবির কাজ শুরু করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে অবশ্য এ বারেও জায়গা করে নিয়েছে টলিউড। ‘গুমনামি’ এবং ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কৃত। দ্বিতীয়টিতে আবার আবহসঙ্গীতের জন্যও জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের ‘লাল’ কার্পেটে হেঁটেছেন বাংলার শ্রীলেখা মিত্র। সেখানে প্রিমিয়ারে দেখানো আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের ‘ওয়ান্স আপঅন আ টাইম ইন ক্যালক্যাটা’-র নায়িকা তিনি।
সিনেমা-জগতে বাংলাকে নিয়ে একটি অদ্ভুত বিতর্কও এ বার এড়িয়ে যাওয়ার নয়। ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘ডিকশনারি’ ভেনিস উৎসবের ভারতীয় প্যানোরামায় নির্বাচিত হয়েও শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ল কেন? ব্রাত্য রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের পিছনে আছে কেন্দ্রের ‘বৃহৎ রাজনীতি’। কর্তৃপক্ষের মতে, এর কারণ নাকি পরিচালকের নামের বানান বিভ্রাট! বুদ্ধি দিয়ে ‘যুক্তি’র বিচার এ ক্ষেত্রে নিশ্চয় প্রাসঙ্গিক।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খবরে আছেন, এটা কোনও খবর নয়। তবে ২০২১-এর বিভিন্ন ধাপে তিনি যে ভাবে ‘খবর’ হয়েছেন, সেটা বলার যোগ্য। প্রথম হল, তাঁর রাজনীতিতে যাওয়ার, স্পষ্ট করে বললে বিজেপিতে যাওয়ার, বিতর্কিত জল্পনা। সেটা জারি হয়েছিল গত বছর থেকেই। এই বছর ভোটের আগে তাতে পাকাপাকি ভাবে জল ঢালা হয়।
সেই সময়ই আবার সৌরভের শারীরিক অসুস্থতা। তাঁকে ঘিরে সবার উদ্বেগ ফের বুঝিয়ে দেয়, বাঙালির হৃদয়ে তিনি এখনও ‘মহারাজ’! সেখানে দল নেই, রং নেই।
কিন্তু বছর শেষের সৌরভ আবার বিতর্কের কেন্দ্রে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে তিনি কি সত্যিই বিরাট কোহলিকে টি-২০ থেকে অবসর না নিতে বলেছিলেন? জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব হারানো কোহলি অবশ্য সৌরভের ওই দাবি সোজা ব্যাটে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে বলেছেন, টি-২০ নিয়ে বোর্ডের কারও কাছ থেকেই এমন কোনও বার্তা তিনি পাননি!
বছরের শেষ বেলায় এই বিতর্কে সৌরভ বিদ্ধ। আপাতত তিনি করোনা-আক্রান্ত। তাঁর দ্রুত সুস্থতা সকলের কাম্য।
কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানকে নিয়েও কম-বেশি বলার বিষয় রয়েছে এই বছর। মহমেডান প্রায় চার দশক পরে কলকাতার ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হল এই বার। আইএসএল ফাইনালে মুম্বইয়ের সিটিএসসি-র কাছে হেরে সমর্থকদের স্বপ্নভঙ্গের কারণ হল মোহনবাগান। আর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ইস্টবেঙ্গলের পুরনো স্পনসর ফিরে এলেও, আইএসএলে দলের অবস্থান একেবারে নিচের সারিতে। এখন অবশ্য স্পনসরদের সুবাদে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলকে আর চেনা নামে ডাকা যায় কি না, তা নিয়েও তর্কাতর্কি যথেষ্ট!
চলতি বছরে খেলাধূলার বিভিন্ন শাখায় কৃতিত্বের তালিকায় যাঁরা, তাঁদের মধ্যে আছেন গুয়াতেমালায় তিরন্দাজির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় সোনাজয়ী অতনু দাস ও তাঁর স্ত্রী দীপিকা কুমারী। টোকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছেন উত্তরাখণ্ড নিবাসী বঙ্গসন্তান মনোজ সরকার। হাওড়ার দেউলপুরে নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান অচিন্ত্য শিউলি এ বছর ভারোত্তলনে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
পাওয়ার অপর দিকে হারানো। সেই বোঝাও এ বার বড় ভারী। গত এপ্রিলে শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণ তেমনই এক অপূরণীয় শূন্যতা। তিনি কি কেবলই কবি! না, বাঙালির কাছে তিনি ছিলেন সমাজের অভিভাবক। এই অস্থির সময়ে ‘বেঁধে বেঁধে’ থাকার অনির্বাণ উপদেশ দেওয়া মানুষটি মৃত্যুতে চিরজীবী হলেন।
কালীপুজোর রাতে রাজ্যের প্রবীণ রাজনীতিক ও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান আর এক বর্ণময় অধ্যায়ের সমাপ্তি।
আরও যাঁরা স্মৃতিভার রেখে গেলেন, তাঁদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ, পুরাতনী গানের শিল্পী চণ্ডিদাস মাল, তবলাশিল্পী শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখক বুদ্ধদেব গুহ, শিক্ষাবিদ স্বপন চক্রবর্তী, দুই কবি শরৎ মুখোপাধ্যায় ও পবিত্র মুখোপাধ্যায়, কল্পবিজ্ঞান লেখক অনীশ দেব, বাংলাদেশের লেখক হাসান আজিজুল হক প্রমুখ।
প্রয়াতের তালিকায় উল্লেখ থাক হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের। দার্জিলিঙের সৎপাল ছিলেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত সামরিক প্রধান বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার ও সফরসঙ্গী।
সব সয়েও জীবন কিন্তু থামে না। চলাও স্তব্ধ হয় না। কারণ, চাওয়া-পাওয়া-হারানোর খতিয়ান বাৎসরিক হলেও, আসলে তা এক অন্তহীন পথরেখা। বছর যায়, বছর আসে। রেখা শুধু দীর্ঘ হয়। এই নিয়মেই ২০২১ তার চলা শেষ করে আগামীর ভার তুলে দেবে ২০২২-এর হাতে।
উত্তরণে ভরসা রেখে, আসুন, নতুন বছরকে স্বাগত জানাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy