পঞ্জাব থেকে পালিয়ে কী ভাবে নিউটাউনের আবাসনে আস্তানা গেড়েছিল গ্যাংস্টাররা, সেই প্রশ্ন ঘুরছিল বিভিন্ন মহলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন্সেক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আবাসনের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নেট মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ওয়েবসাইট দেখে দুষ্কৃতীরা প্রথম এই ফ্ল্যাটের জন্য যোগাযোগ করে সৌরভ কুমারের সঙ্গে। তিনি জমি বাড়ির কেনাবেচা ও ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন।
ফোন পেয়ে সৌরভ জানিয়ে দেন লকডাউনের সময় বাড়ি ভাড়া পাওয়া মুশকিল। সৌরভ জানিয়েছেন, অপরপ্রান্ত থেকে বারবার মিনতি করা হয়। বলা হয় ‘ ট্রান্সফারেল জব হ্যায়।’ মাসিক ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে বাড়ি খোঁজ করছিল দুষ্কৃতীরা। অবিবাহিত দুই সহকর্মী ফ্ল্যাটে থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন টেলিফোনে যোগাযোগকারী।
অপরপ্রান্তের অনুরোধ শুনে সৌরভ অপর এক বাড়ির দালাল সুকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। ৪৮০ স্কোয়ার ফিটের এই ফ্ল্যাটের জন্য মাসিক ১০হাজার টাকা চুক্তি হয়। সুমিত কুমার নামে এক ব্যাক্তির নামে ওই ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়। এর জন্য ‘সিকিউরিটি মানি’ হিসেবে ২০হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাবতীয় কাগজপত্র জমা হয় সুমিত কুমারের নামে। নিজেকে অটো পার্টসের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন সুমিত কুমার। সুমিত কুমারের নামে এই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হলেও এখানে থাকছিল পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল সিংহ ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংহ।
বুধবার এই ফ্ল্যাটেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে দুই গ্যাংস্টারের। যাদের আলমারি থেকে পাওয়া ব্যাগে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ঠিকানা দুষ্কৃতীদের পাকিস্তান যোগ উস্কে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন্সেক টিম আবাসনের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। গ্যাংস্টাররা কী ভাবে কলকাতায় এসেছিল, সেই পথও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। রাজ্যে তাদের সাহায্যকারী কে কে ছিল, সে বিষয়ে সন্ধান করেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy