ভরত কুমার
ভরত কুমারের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ অনেক দিনেরই। পুলিশ সূত্রে খবর, ভরতের স্ত্রীর বাপেরবাড়ি কলকাতার চারু মার্কেট এলাকায়। নেটমাধ্যমেই তাঁদের আলাপ এবং সেখান থেকেই বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি কলকাতায় হওয়ার সূত্রে শহরে তাঁর যাতায়াত লেগেই ছিল।
পুলিশের ওই সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ মে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার এবং যশপ্রীত সিংহকে কলকাতায় নিয়ে এসে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তুলেছিলেন ভরত কুমারই। তার পর স্ত্রীকেও কলকাতায় ডেকে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী চারু মার্কেট এলাকার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তবে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বাড়ির ভিতরে ঢোকেননি ভরত। ভরতের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির কোনও যোগাযোগ ছিল না বলেই জানিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি ভারতী দেব। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে আর ভরতের মধ্যে কবে বিয়ে হয়েছে জানি না। ওরা এখানে থাকে না। পঞ্জাবেই থাকত। শেষ বার মে মাসে এসেছিল মেয়ে। ঘণ্টাদুয়েক ছিল বাড়িতে। তার পর হোটেলেই উঠেছিল। শেষ বার ২৭ মে কথা হয়েছিল। তখন জানিয়েছিল, পঞ্জাবে আছে। কিন্তু ভরত সম্পর্কে কিছুই জানি না।’’
পঞ্জাব পুলিশের দাবি, ভিআইপি মোবাইল নম্বর বিক্রির ব্যবসা ছিল ভরতের। সেই সূত্রেই ভুল্লারদের সঙ্গে তার যোগাযোগ তৈরি হয়। শনিবার ফরেন্সিক রিপোর্টে সাপুরজির ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে যে তৃতীয় এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলেছে, তা ভরতেরই বলে পুলিশের অনুমান।
ভরতের সঙ্গে গ্যাংস্টারদের যোগাযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ভরতের স্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘ভরতকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে। গ্যাংস্টারদের সঙ্গে ওর যোগাযোগ হবে কী করে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy