আবেদনকারীকে বদলি করা যাবে কিনা, সে সম্পর্কে পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেডকে ১০ দিনের মধ্যে মতামত জানাতে হবে। —ফাইল চিত্র।
গত লোকসভা ভোটের আগে বদলি হওয়া নিচুতলার পুলিশকর্মীদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে না-আনায় তাঁদের আত্মীয়দের একাংশ সোজা হাজির হয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনের সামনে। সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল পুলিশের অন্দরে। পরে রাজ্য পুলিশ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, পোস্টিং পেতে একা কিংবা ‘দলবদ্ধ’ ভাবে সদর দফতরে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে ‘তদ্বির’ করলে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে বিবেচিত হবে।
এ বার আর একটি নির্দেশিকা জারি করে পুলিশের শীর্ষ মহল জানিয়েছে, সাব-ইনস্পেক্টর পদ পর্যন্ত বদলির গোটা প্রক্রিয়াটি এখন থেকে অনলাইনে সারা হবে। সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা বা তার পরে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে এই নির্দেশিকার কোনও সম্পর্ক নেই বলে পুলিশকর্তারা দাবি করলেও নতুন নির্দেশে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, প্রশাসনিক প্রয়োজন ও পুলিশকর্মীদের কল্যাণের পাশাপাশি, বদলি প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা’ আনতেই এই পদক্ষেপ।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সই করা নতুন নির্দেশিকা (পুলিশ অর্ডার নম্বর ১১/২০২৪) গত ২৫ অক্টোবর জারি হয়। তাতে বলা হয়েছে, পুলিশকর্মীরা অনলাইনে ই-এইচআরএমএস পোর্টালে বদলির আবেদন করবেন। প্রতি বছর ডিসেম্বরে অনলাইনে নির্দিষ্ট উইন্ডো খোলার ৩০ দিনের মধ্যে বদলির আবেদন জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন আধিকারিক সেই আবেদনপত্রে নিজের মতামত লিখবেন। তার পরে সেটি পুলিশ সুপারের দফতরে চলে যাবে। আবেদনকারীকে বদলি করা যাবে কিনা, সে সম্পর্কে পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেডকে ১০ দিনের মধ্যে মতামত জানাতে হবে। রেঞ্জ আইজি অথবা ডিআইজি তার ১০ দিনের মধ্যে বদলি কার্যকর করবেন। প্রত্যেক বছর মার্চ বা এপ্রিলে সাধারণ বদলি (জেনারেল ট্রান্সফার) হবে।
বিশেষ বদলির (স্পেশ্যাল ট্রান্সফার) ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের মতামত-সহ সেই আবেদনপত্র পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেডের দফতরে আসবে সাত দিনের মধ্যে। তিনি মতামত-সহ ‘অথেন্টিকেশন সার্টিফিকেট’ দেবেন দশ দিনের মধ্যে। আবেদনপত্র পুলিশ ডিরেক্টরেটে আসার পরে প্রতিটি আবেদন খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একটি কমিটি। প্রতি তিন মাসে কমিটি সব আবেদনপত্র খতিয়ে দেখবে। বদলির আবেদন করা যাবে একমাত্র ই-এইচআরএমএস পোর্টালে।
কেন এই নির্দেশ?
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘সাব-ইনস্পেক্টর পদ পর্যন্ত বদলির একটি সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা প্রয়োজন। অযথা অপেক্ষা করে থাকতে হবে না। পাশাপাশি, কাগজের ব্যবহার কমবে। অযথা দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না। তদ্বির করার প্রয়োজন হবে না। বদলি প্রক্রিয়ার প্রতিটি কাজের জন্য সময়সীমা নির্ধারিত করে দেওয়া থাকলে কাজটিও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে। স্বচ্ছতা নিয়ে কারও মনে প্রশ্ন থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy