আগামী ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিকের টেস্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাধ্যমিকের টেস্টে কোনও বিতর্কিত প্রশ্ন দেওয়া যাবে না। এমন কোনও প্রশ্ন করা যাবে না যাতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা রাজ্যকে বিব্রত হতে হয়। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন নিয়ে কোনও বিতর্ক দেখা দিলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে প্রধান শিক্ষককে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে একটি স্কুল টেস্টে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে প্রশ্ন করে। বিতর্ক শুরু হয়। পর্ষদ জানিয়ে দেয়, তাদের পাঠ্যক্রমে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নেই।
আগামী ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিকের টেস্ট। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। তার আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দিল, টেস্টের প্রশ্ন করতে হবে পাঠ্যক্রম থেকেই। শিক্ষককেই টেস্টের প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। বাইরে থেকে কোনও এজেন্সির মাধ্যমে প্রশ্ন তৈরি করা যাবে না। প্রতিটি স্কুলকে টেস্টের পরে প্রশ্ন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পাঠাতে হবে। যাতে পর্ষদ দ্রুত টেস্ট পেপার প্রকাশ করতে পারে। ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘২১ নভেম্বর থেকে টেস্ট শুরু। প্রায় সব স্কুলেই টেস্টের প্রশ্ন হয়ে গেছে। এত দেরিতে কেন বিজ্ঞপ্তি?’’
টেস্টে বিতর্কিত প্রশ্ন হলে প্রধান শিক্ষককে কেন দায়ী করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, প্রশ্ন করেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা। এক জন প্রধান শিক্ষক সব বিষয়ে পারদর্শী নন। কোনও বিষয়ে যদি বিতর্কিত প্রশ্ন হয় বা পাঠ্যক্রমের বাইরে প্রশ্ন আসে তা প্রধান শিক্ষকের পক্ষে কি সব সময় ধরা সম্ভব?
ট্যাব বিতর্কেও কর্তব্যে অবহেলার জন্য প্রধান শিক্ষকদের দায়ী করা হচ্ছে। তাঁদের প্রশ্ন, প্রতি ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষককে কাঠগড়ায় তোলা কি বাঞ্ছনীয়? তবে পাল্টা প্রশ্নও উঠেছে, কোনও বিষয়ে পাঠ্যক্রম-বহির্ভূত প্রশ্ন বোঝা প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব নয় ঠিকই, কিন্তু ‘আজাদ কাশ্মীরের’ মতো বিতর্ক না বোঝার তো কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy