Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Containment Zone

Containment Zone: গণ্ডিবদ্ধ নতুন এলাকা, নিয়ম রক্ষাই চ্যালেঞ্জ

সংক্রমণ বাড়তেই উত্তরের বেশ কিছু জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চালু করেছে প্রশাসন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ০৭:১৭
Share: Save:

করোনা ঠেকাতে বহু জেলাতেই ফিরেছে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জ়োন। কোথাও নতুন করে চিহ্নিত হচ্ছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা, কোথাও প্রস্তাব আসছে, কোথাও আবার গণ্ডিবদ্ধ এলাকা কমছে। এই সব এলাকায় অবাধ যাতায়াতে রাশ টানা, জমায়েত বন্ধের পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা চালু রাখাই এখন প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ।

সংক্রমণ বাড়তেই উত্তরের বেশ কিছু জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চালু করেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ির ৯টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৯টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চালু হলেও কার্যত তা খাতায়কলমে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, নজরদারি না থাকায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকাতেও মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন অনেকে। এলাকাগুলিতে নিয়মিত জীবাণুনাশও হচ্ছে না। শিলিগুড়ি, মালদহ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলায় এখনও এই নিয়ম কার্যকর হয়নি। প্রশাসন জানাচ্ছে, এই জেলাগুলিতে সংক্রমণ কম। একই যুক্তিতে বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতেও কোনও এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করা হয়নি।

সংক্রমণের নিরিখে অনেক জেলায় আবার নতুন করে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ফিরেছে। মঙ্গলবার গ্রামীণ হাওড়ার ২৩টি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ১২টি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের ৩টি এবং রেলশহর খড়্গপুরের ৯টি এলাকায় আজ, বুধবার থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বিধি-নিষেধ থাকবে। পশ্চিম বর্ধমানের কিছু এলাকাকেও গণ্ডিবদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে দুর্গাপুর পুরসভার ৮টি ওয়ার্ডের কিছু অংশ, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের দু’টি ও সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কিছু অংশ আছে। জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

উত্তর ২৪ পরগনায় আবার গণ্ডিবদ্ধ এলাকা কমেছে। রবিবার পর্যন্ত জেলায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ছিল ৫১টি। সোমবার তা কমে হয়েছে ৪৩টি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ৪২টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। তবে আগের মতো বাঁশ বেঁধে এলাকা ঘেরা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে বারণ করা হচ্ছে। সংক্রমিতেরা যাতে বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারেন তা দেখতে নজরদারি চলছে। এলাকাগুলিকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কেউ বিধি ভাঙলে পুলিশ ব্যবস্থাও নিচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট জ়োনে বাসিন্দাদের খাবার, পানীয় জল, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় টিকাকরণেও জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর জানান, ব্লক এলাকায় বিডিও আর শহরে পুরসভা এবং কাউন্সিলরদের সহায়তায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

জগদ্ধাত্রী পুজোর মুখে হুগলির চন্দননগর পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডকে গণ্ডিবদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। জমায়েত এড়াতে গঙ্গাপাড়ের চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে লোকজনকে বসতে দিচ্ছে না পুলিশ। মাস্ক না পরলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাঁকুড়ায় গণ্ডিবদ্ধ বাড়ির সংখ্যা ১২টিই রয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Containment Zone Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy