পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান হলেন
তৃণমূলের সোমনাথ দে। তিনি পানিহাটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। নতুন পুরপ্রধানকে
বেছে নিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১টায় বৈঠকে বসেছিলেন পানিহাটির সকল কাউন্সিলর।
তবে উপস্থিত ছিলেন না সদ্যপ্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি জানান, শারীরিক
অসুস্থতার কারণে তিনি পুরসভায় যেতে পারেননি। বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরেরা নয়া
পুরপ্রধান হিসাবে সোমনাথের নামে সম্মতি জানান।
এর আগে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সোমনাথ পানিহাটির উপ পুরপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন দায়িত্ব পেয়েই পানিহাটির অমরাবতী মাঠ নিয়ে মুখ খোলেন সোমনাথ। বলেন, “অমরাবতী মাঠ পানিহাটির ফুসফুস। তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।” প্রসঙ্গত, তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই অমরাবতী মাঠ সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িয়েই পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যেতে হয় মলয়কে। ওই সূত্র মারফত জানা যায়, অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মলয়ের বিরুদ্ধে। এই মর্মে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি, পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগও ওঠে মলয়ের নেতৃত্বাধীন পুর-প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহে বিধানসভা থেকে মলয়কে ফোন করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই মলয়কে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নানা টালবাহানার পর দলীয় নির্দেশে গত ১৩ মার্চ ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান মলয়। সেটাই গৃহীত হয় সোমবার।
আরও পড়ুন:
পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, নতুন পুরপ্রধান বেছে নিতে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো শুক্রবার দুপুরে কাউন্সিলরদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্মল। ছিলেন মহকুমাশাসকের এক প্রতিনিধিও। নতুন পুরপ্রধান জানিয়েছেন, আগের পুর পারিষদদের নিয়েই দ্রুত কাজ শুরু করতে চান তিনি। তৃণমূল সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সোমনাথ। শুক্রবার সেই নামেই সিলমোহর পড়ল।