তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে কার ভূমিকা কত, তা নিয়ে চাপানউতোর আগেই শুরু হয়েছে। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল নেতাই।
বাম জমানার একেবারে শেষে ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে সিপিএমের শিবির থেকে হামলায় মৃত্যু হয় ৯ জনের। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারির সেই ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে ওই দিনেই নেতাইয়ে জোড়া কর্মসূচি তৃণমূল ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর। নেতাইয়ের এই ‘শহিদ স্মরণ’ কর্মসূচিতে থাকবেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের দলীয় নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন ছত্রধর মাহাতো।
নেতাইয়ের ঘটনার পর তৎকালীন শাসক বামেদের যথেষ্ট চাপে ফেলে দেয় বিরোধী তৃণমূল। এ নিয়ে সিবিআিই তদন্তের নির্দেশও দেয় আদালত। ১০ বছর বাদে শাসক তৃণমূলের কাছে সেই নেতাই এখন নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ নেতাইয়ের সঙ্গে এই ১০ বছর দলের তরফে যাঁরা সম্পর্ক রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই সূত্রেই নন্দীগ্রামে নিজের প্রভাবকে বিজেপিমুখী করতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। আগামী ৭ তারিখে নেতাইয়ে তিনিও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কর্মসূচি নিয়েছেন। এ দিন তা নিয়ে আলোচনা করতেই জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পার্থবাবু।
আরও পড়ুন: অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে কনিষ্ঠ অধিকারী
আরও পড়ুন: বর্ষবরণে শুভেন্দুর জোড়া সভা নন্দীগ্রাম-কাঁথিতে, চড়ছে উত্তেজনার পারদ
ওইদিনই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ কর্মসূচি নিয়ে একইরকম টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। তৃণমূলের নেতা ও স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে নন্দীগ্রামের এই কর্মসূচিতে অংশ নিতেন শুভেন্দু। তিনি দলে না থাকলেও এ বার কর্মসূচি নিয়েছেন। তিনি অবশ্য ঘোষণা করেছেন, নন্দীগ্রামে তিনি যাবেন ৮ তারিখ। তবে নন্দীগ্রামে ৭ তারিখের দলীয় কর্মসূচি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy