কলকাতার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে চলছে প্রস্তুতি।—ছবি রয়টার্স।
জেইই-তে কলকাতায় পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল মাত্র একটি। তবে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (নিট) জন্য মহানগরে কেন্দ্র হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। করোনা-কালে খাতায় লিখে পরীক্ষা। তাই দেওয়া হবে প্যাকেটে মোড়া প্রশ্নপত্র ও খাতা। কোনও পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপ নির্ধারিত মাত্রার বেশি হয়ে গেলে তাঁর জন্য আইসোলেশন রুম বা পৃথক ঘরেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেল, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। কর্মকতার্রা জানালেন, শুক্র ও শনিবার লকডাউনের কথা ভেবে প্রস্তুতি চালানো হয়েছিল। তবে এ দিন দুপুরে জানা যায়, শনিবার লকডাউন হচ্ছে না। কসবার একটি বেসরকারি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। ওই স্কুলের অধ্যক্ষা জয়তী চৌধুরী জানান, স্কুলে ঢোকার সময়েই ‘থার্মাল চেকিং’ বা শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার্থীদের নথিপত্র পরীক্ষা করা হবে স্পর্শ না-করেই। প্রতিটি ঘরে ১২ জন পরীক্ষার্থী বসবেন। সব ঘরেই ‘ডিপ স্যানিটাইজ়িং’ করা হয়েছে। ‘‘থার্মাল চেকিংয়ে কোনও পরীক্ষার্থীর শরীরের বেশি তাপমাত্রা ধরা পড়লে আইসোলেশন রুমে তাঁর বসার ব্যবস্থা থাকছে,’’ বলেন জয়তীদেবী।
নিট পরীক্ষার্থীদের মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজ়ার নিয়ে আসা আবশ্যিক বলে জানান বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তারা। পরীক্ষার্থীরা যে-মাস্ক পরে আসবেন, পরীক্ষার সময় সেটি খুলে রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রের দেওয়া মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কেউ আনতে ভুলে গেলে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা স্বচ্ছ জলের বোতল আনতে পারবেন। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রের তরফেও তাঁদের জন্য পানীয় জলের বোতলের ব্যবস্থা করা হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েক জন আধিকারিক জানান, বেলা ২টোয় পরীক্ষা শুরু। রিপোর্টিং টাইম শুরু বেলা ১১টায়। বেলা দেড়টার পরে আর পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না।
নিউ টাউনের রবীন্দ্র তীর্থের কাছে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিটের সিট পড়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক তথা সেন্টার সুপার মালা মিত্র জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম মেনে তাঁদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ‘‘আইসোলেশন রুমে যিনি নজরদারি চালাবেন, তাঁর জন্য পিপিই বা বর্মবস্ত্রের ব্যবস্থা থাকছে। পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মেনে পরীক্ষা দিতে হবে,’’ বলেন মালাদেবী।
নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবার বন্দোবস্ত হয়েছে। ১৫ মিনিট অন্তর ট্রেন মিলবে বলে জানান মেট্রো-কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে ট্রেনে উঠতে পারবেন। পরীক্ষার্থী-পিছু এক জন অভিভাবকও চাপতে পারবেন ট্রেনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy