—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার পরে গত ২০ অগস্ট ডাক্তারদের তথা হাসপাতালগুলির সামগ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানোর পথ খুঁজতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দশ সদস্যের সেই টাস্ক ফোর্স আজ প্রথম বার বৈঠকে বসল।
টাস্ক ফোর্সকে মূলত দু’টি বিষয় দেখতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এক, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হিংসা-সহ সব রকম হিংসা প্রতিরোধের উপায়। দুই, হাসপাতালের সব চিকিৎসাকর্মীর নিরাপদ ও সম্মানজনক ভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টির একটি বাস্তবসম্মত মাপকাঠি তৈরি। সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে ব্যাপক ভাবে আলোচনা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বৈঠকে। ‘সাজেশনস টু এনটিএফ’ নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের www.mohfw.gov.in ওয়েবসাইটে
এই পোর্টালের লিঙ্কটি দেওয়া আছে। ব্যক্তিবিশেষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সকলেই এখানে টার্স ফোর্সের জন্য তাঁদের পরামর্শ নথিভুক্ত করতে পারবেন। সেই সব পরামর্শ নিয়েও টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে আলোচনা হবে।
ক্যাবিনেট সচিব এই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব-সহ টাস্ক ফোর্সের সব সদস্যই এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সদস্যেরা নিজেরা যেমন বিভিন্ন প্রস্তাব রেখেছেন, তেমনই নানা জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই সরাসরি তাঁদের কাছে তিন-চারশো পরামর্শ এসেছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী রকম, তা নিয়ে রাজ্যগুলির কাছেও তথ্য চেয়ে ‘গুগল শিট’ পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের নিরাপত্তা দিতে স্বল্পমেয়াদি কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আগামী বুধবার আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব সেই ভিডিয়ো-বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-দের সঙ্গে কথা বলবেন।
ঠিক হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত যাঁরা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব-সহ টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চালাবেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ‘সম্পৃক্ত’ বলতে সচরাচর রোগী, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, পড়ুয়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসক থেকে নীতি-নির্ধারক, সকলকেই বোঝানো হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির মতামতও টাস্ক ফোর্স জানতে চাইবে বলে খবর। সূত্রের মতে, টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে আসা কিছু পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ বার সেগুলির ক্ষেত্র আরও বাড়িয়ে নিয়ে ভাবনা-চিন্তা এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy