— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক আগেই হয়েছে। এ বার মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও তেমন নিয়ম চালুর নির্দেশ জারি করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। নিয়মের অন্যথা হলে কড়া পদক্ষেপের কথাও জানানো হয়েছে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-চিকিৎসকদের বছরে অন্তত ৭৫ শতাংশ উপস্থিতির হার বাধ্যতামূলক। যে সব শিক্ষক-চিকিৎসকের ওই উপস্থিতির হার থাকবে না, তাঁদের ওই বছরে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজের ফ্যাকাল্টি হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। প্রয়োজনে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমতিও রদ করা হতে পারে। আরও বলা হয়েছে, কলেজের সময়ে বাইরে গিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস না করার বিষয়েও মুচলেকা দিতে হবে শিক্ষক-চিকিৎসকদের।
এনএমসি-র পর্যবেক্ষণ, বহু শিক্ষক-চিকিৎসক যেমন প্রতিদিন কলেজে আসেন না, তেমনই আবার অনেকে কলেজে এলেও কিছু সময়ের জন্য থেকেই চলে যান বাইরে প্র্যাক্টিস করতে। সেটি কখনওই কাম্য নয়। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলার মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-চিকিৎসকেরা সপ্তাহের প্রতিদিন সেখানে থাকতে চান না। বদলে দু’-চার দিন থেকে সেই জেলাতেই বা কলকাতায় ফিরে এসে তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন। এক শ্রেণির শিক্ষক-চিকিৎসকের এই প্রবণতা আটকাতেই এমন কড়াকড়ি করা হয়েছে।
এনএমসি জানিয়েছে, আংশিক সময়ের কোনও ফ্যাকাল্টিকে কখনওই সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে না। একমাত্র পূর্ণ সময়ের
ফ্যাকাল্টিরাই এনএমসি-র কাছে মান্যতা পাবেন। উপস্থিতির এই হার যেমন স্নাতক স্তর অর্থাৎ এমবিবিএস পড়ানোর সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে বলবৎ থাকবে, তেমনই স্নাতকোত্তর স্তরে অর্থাৎ এমডি-এমএসেও বহাল থাকবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের ছাড়পত্র বজায় রাখতে গেলে মোট শয্যার ১৫ শতাংশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের জন্য থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy