Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

মির্জা ফ্ল্যাটে এসেছিলেন মেনেও, টাকা লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করলেন মুকুল

রবিবার সকালে সাড়ে ১১টার কিছু আগে মির্জাকে নিয়ে মুকুলের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই।

বাড়ির বাইরে মুকুল রায় ও সৈয়দ মির্জা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

বাড়ির বাইরে মুকুল রায় ও সৈয়দ মির্জা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৭
Share: Save:

নারদ কাণ্ডে ধৃত আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে গেল সিবিআই। এলগিন রোডের সেই বাড়িতে তখন মুকুল ছিলেন। মির্জার দাবি, তিনি এই বাড়িতে এসেই মুকুলের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় এ দিন। তবে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মুকুল নিজে।

রবিবার সকালে সাড়ে ১১টার কিছু আগে মির্জাকে নিয়ে মুকুলের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। সঙ্গে সিআরপি-র জওয়ানেরাও ছিলেন। সিবিআই অফিসারেরা মির্জাকে নিয়ে লিফটে উঠে মুকুলের চারতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে যান। সিবিআইয়ের এক অফিসার একতলা থেকেই পুরো ঘটনাটি ভিডিয়ো করতে শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে তাঁরা মুকুলের বাড়ি ছেড়ে বেরোন। তার আগে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নারদ মামলায় সিবিআইয়ের মুখ্য তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত কুমার জানান, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। মির্জার দাবি, তিনি মুকুলকে প্রচুর টাকা দিয়েছেন। কবে কোথায় টাকা দিয়েছেন, জানতে চাইলে মির্জা এই ঠিকানার কথা বলেন। তাই মির্জাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য আসা হয়েছে।

সিবিআইয়ের দল বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে ফ্ল্যাট থেকে নেমে মুকুল পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘‘আমি নারদ কাণ্ডে কোনও টাকা নিইনি। ভিডিয়োতে আমার টাকা নেওয়ার ছবি দেখাতে পারলে আমি মেনে নেব। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মির্জা আমার সঙ্গে এ বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন। সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য সিবিআই এসেছিল।’’

মির্জা কি আপনাকে টাকা দিয়েছিলেন? মুকুল বলেন, ‘‘আমার এখানে কোনও টাকার লেনদেন হয়নি। যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারে। কিন্তু তার সারবত্তা থাকতে হবে।’’

সিবিআইয়ের অবশ্য দাবি, গত কয়েক দিনের জেরায় মির্জা তাঁদের জানিয়েছেন, তিনি এলগিন রোডে মুকুলের বাড়িতে গিয়ে দেড় কোটি টাকারও বেশি দিয়ে এসেছিলেন। শনিবার মুকুল যখন সিবিআইয়ের কাছে আসেন, যখন তাঁকে মির্জার সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখনই এই ঘটনার পুনর্গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হয়। মুকুলের অনুমতি নিয়েই মির্জাকে তাঁর ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, নারদের ভিডিয়োয় ছিল (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)— ম্যাথু যখন বর্ধমানে মির্জার সরকারি বাসভবনে বসে টাকা দিচ্ছিলেন, তখন মির্জার কাছে ফোন আসে। যে ফোনে মির্জাকে প্রায় দেড় কোটি টাকার কথা বলতে শোনা যায়। মির্জা ওই টাকা ‘দাদা’র হাতে তুলে দেবেন বলে ফোনে জানান।

আজ, সোমবার আদালতে মির্জাকে তুলে ফের তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy