তুষার মেহতা। —ফাইল চিত্র
নিম্ন আদালতে নারদ মামলায় গত ১৭ মে-র শুনানির বৈধতার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সওয়াল করে আসছেন তিনি। বুধবারেও কলকাতা হাই কোর্টে সেই প্রসঙ্গ টেনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ফের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়লেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ধরা যাক, কোনও বুদ্ধিমানের কাছে সে-দিনের শুনানি নিরপেক্ষ মনে হয়নি। সে-ক্ষেত্রে এসজি জানান, কে সেই বুদ্ধিমান এবং কী ভাবে তাঁর মনে সেই ধারণা তৈরি হল? এসজি কি ডিভিশন বেঞ্চের সামনে তা প্রমাণ করতে পারবেন?
বিচারপতি সৌমেন সেন জানান, মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যমের বিচারকে আদালত সমর্থন করে না। তাঁর প্রশ্ন, ধরা যাক, সংবাদমাধ্যম কাউকে দোষী সাব্যস্ত করল এবং সেই ব্যক্তি আদালতে বেকসুর ঘোষিত হলেন। জনমানসের ধারণা কি আদালতের সেই রায় খারিজ করে দিতে পারে?
১৭ মে নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রী সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন। সে-দিনই বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁদের জামিন দেয়। এখন হাই কোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলছে।
এসজি বিভিন্ন রায়ের প্রতিলিপি দেখিয়ে জানান, বিক্ষোভ-আন্দোলনের প্রভাব আদালতের উপরে পড়তে পারে। চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরে নিজ়াম প্যালেসে তৃণমূল সমর্থক, মুখ্যমন্ত্রী এবং নিম্ন আদালতে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিই প্রভাব ফেলেছে বলে অভিযোগ সিবিআই এবং এসজি-র। বিচারপতি টন্ডন বলেন, সে-দিন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি জামিনের জোরালো বিরোধিতা করতে পারেননি। তা হলে আদালত ও বিচারকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? এসজি জানান, কেস ডায়েরি না-থাকায় জোরালো সওয়াল করা যায়নি। বিচারপতি সেনের প্রশ্ন, সে-দিন নিম্ন আদালতে শুনানি শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৪টেয়। সন্ধ্যা ৬টায় সিবিআই চার্জশিট জমা দেয়। তা হলে কেস ডায়েরি পেশ হল না কেন? আজ, বৃহস্পতিবারেও শুনানি আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy