ন্যাশনাল লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম। শনিবারের নিজস্ব চিত্র।
ধর্ষিতার নাম, ছবি প্রকাশ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট বক্তব্যের ৪ দিনের মাথায় তা অমান্য করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম। আর তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল আইনজীবী মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার এক জন দায়িত্বশীল সদস্য হয়ে কী ভাবে সেই সভায় বক্তব্য রাখতে পারলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, যে মঞ্চের পিছনে টাঙানো ব্যানারে ছাপানো হয়েছে কাঠুয়ায় গণধর্ষিতা বালিকার নাম ও ছবি।
গত ২৪ এপ্রিল একটি পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি মদন বি লোকুর ও দীপক গুপ্তার বেঞ্চ জানায়, মৃতেরও মর্যাদা রয়েছে। তাই ধর্ষিতা জীবিত থাকুন বা মৃত, তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য তাঁর নামধাম, ছবি কখনওই প্রকাশ করা উচিত নয়।
কাঠুয়া-কাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার একটি সভা ছিল কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। সেখানেই এ দিন বক্তব্য রাখেন ববি।
মঞ্চের পিছন দিকে টাঙানো ব্যানারে কাঠুয়ায় গণধর্ষিতা বালিকার নাম ও ছবি ছিল।
আরও পড়ুন- বিচারপতি নিয়োগে প্রতিহিংসার নালিশ
আরও পড়ুন- প্রয়োজনে কাঠুয়া মামলা অন্য আদালতে সরবে: সুপ্রিম কোর্ট
এই ঘটনার সমালোচনায় সরব হয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট আইনজীবীদের একাংশ। আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ওই বক্তব্যের পর মন্ত্রী (ববি হাকিম)-র এটা করা উচিত হয়নি।’’
প্রায় একই সুরে বলেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর (ববি হাকিম) মতো অনেকেই আদালতের রায়-টায় সম্পর্কে খবরাখবর রাখেন না। এটা ওঁর অজ্ঞানতারই প্রমাণ। খুবই অনভিপ্রেত ঘটনা।’’
মন্ত্রী অবশ্য নিজেও কবুল করেছেন, গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের যে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে, সে সম্পর্কে তিনিও কিছু জানতেন না।
ববি বলেছেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের ওই বক্তব্যের কথা আমি জানতাম না। কাঠুয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। ওই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর দরকার বলেই ওখানে গিয়েছিলাম আয়োজকদের আমন্ত্রণে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy