বিদ্যুতের বিল বকেয়া ছিল গত কয়েক বছর ধরেই। সম্প্রতি তা বাড়তে বাড়তে প্রায় ৫৮ লক্ষ হয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভায়। আজ, ৫ মার্চের মধ্যে ‘ই-ক্যাটাগরি’র বেলডাঙা পুরসভা ওই বিল মেটাতে না পারলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।
দীর্ঘ ৩৩ বছর বামেদের দখলে থাকার পর ২০১০ সালের জুন মাসে বেলডাঙায় ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিরাট অঙ্কের বিদ্যুতের বিল আসে তাদের কাছে। যা দেখে মাথায় হাত পড়ে পুর-কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেন তাঁরা। কিন্তু অত টাকা কোথা থেকে আসবে ঠিক করে উঠতে পারেননি তাঁরা। বিলও মেটাননি আর। বাড়তে-বাড়তে চলতি বছর মার্চ মাসে বকেয়া বিল এসে দাঁড়িয়েছে ৫৭,৭৫,৮৩৩ টাকা। এই অবস্থায় দ্রুত বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। পুরপ্রধান কংগ্রেসের অনুপমা সরকার বলেন, ‘‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি, তখনই বামবোর্ডের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ছিল ১৪ লক্ষ। এরপর আমরা এসে অন্ধকার শহরকে আলোকিত করেছি। পাশাপাশি পুরসভার লাইন থেকে বিদ্যুৎ চুরিও হচ্ছে। আমরা বিষয়টা বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েছি। আশা করছি দফতর সহানুভূতির সঙ্গেই দেখবে।” বিদ্যুৎ দফতরের বহরমপুর ডিভিশন ম্যানেজার সুকান্ত মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘আগেই পুরসভাকে এই নিয়ে সতর্ক করেছিলাম আমরা। এ বার বিল না মেটালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।”
পুরসভার এই শিয়রে শমনে উদ্বেগে বিরোধীরাও। বেলডাঙা শহর তৃণমূলের সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ই ক্যাটাগরির এই পুরসভা কি ভাবে টাকা শোধ করবে বুঝতে পারছি না। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে শহরে পথসভা করে এই নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কথা পুরবাসীকে আগাম জানিয়েছি।”
বিরাট অঙ্কের এই বিল মেটানো পুরসভার পক্ষে যে কার্যত অসম্ভব, তা জানিয়ে বিরোধী দলনেত্রী সিপিএম-এর শীলা ঘোষ বলেন, ‘‘বিবিধ খাত থেকে টাকাটা মেটানোর কথা। ছোট পুরসভায় ওই খাতে এত টাকা নেই। কী হবে জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy