রাজ্য জুড়ে যখন জমি সঙ্কট, জমির জন্য থমকে যাচ্ছে উন্নয়ন, তখন সীমান্তের গঞ্জ সাগরপাড়ার ব্যবসায়ীরা থানা গড়তে ১৭ শতক জমি দান করলেন প্রশাসনকে। থানা অবশ্য হবে কি না, এখনও ঠিক হয়নি। ডোমকলের এসডিপিও অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা থানা তৈরির জন্য ১৭ শতক জমি দিয়েছেন। আমরা আগেই প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এ বার সেই কাজ আশা করি দ্রুত করা যাবে।”
সীমান্তের বাজার সাগরপাড়া। জলঙ্গি থানা থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরত্ব ওই বাজারের। ফলে কিছু ঘটনা ঘটলে পুলিশের আসতে অনেক সময় লেগে যায়। বছর কয়েক ধরে সাগরপাড়া বাজারে বেশ কিছু বড় দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় এলাকায় থানার দাবি আরও জোরালো হয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় জমি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জমি কিনে থানা তৈরি সম্ভব নয়। এই অবস্থায় থানার জন্য চড়া দামে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।
মেরে-কেটে শ’খানেক দোকান। সীমান্তের কড়াকড়িতে আগের মতো আর রমরমাও নেই বাজারের। অনেক দোকানই ধুঁকছে। তবুও নিরাপত্তার খাতিরে কেউ ১০ হাজার, কেউ পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন। বাজারের প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রঞ্জন কর্মকার ও অঞ্জন কর্মকারদের দোকানে পরপর দু’বার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টা কয়েক ধরে ওই ঘটনা ঘটলেও পুলিশের দেখা মেলেনি বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। রঞ্জনবাবুর বক্তব্য, ‘‘এক বছরে পরপর দু’বার ডাকাতি হয় আমাদের দোকানে। ফলে একটা সময় ব্যবসা নিয়ে হতাশায় ভুগছিলাম। থানা হলে অন্তত নিরাপত্তা পাব।” নিরাপত্তার কথা ভেবেই রঞ্জনবাবু চাঁদা দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা। ওই বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী এক্রামূল হক বলেন, ‘‘থানার জন্য জমি কিনতে হবে শুনে কেউ না করেননি। কারণ এখানে থানা হলে এলাকার মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। বাজারে ডাকাতি করার সাহস অন্তত কেউ দেখাবে না।’’বাজার ব্যবসায়ী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি পারুল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের মতো একটা ছোট্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে ওই জমি কিনে দেওয়া খুব কঠিন ছিল। কিন্তু বছর কয়েক ধরে যে ভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে তাতে আমাদের বাজারের অস্তিত্ব ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এ ছাড়া উপায় ছিল না।’’
বাজার লাগোয়া সাগরপাড়া হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ১৭ শতক ওই জমি কিনতে খরচ হয়েছে ৫ লক্ষ টাকারও কিছু বেশি। জমির কাগজপত্র ১৪ নভেম্বর তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের হাতে। সাগরপাড়া বাজার ব্যবসায়ী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘অনেক কষ্ট করে আমাদের ওই জমি জোগাড় করতে হয়েছে। এখন প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রক্রিয়া শুরু করুক। থানা হলে কেবল ব্যবসার সুবিধা নয়, এলাকার আইন শৃঙ্খলাও রক্ষা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy