এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। এমন সন্দেহ থেকে স্ত্রীকে তো বটেই, এমনকি, স্ত্রীর দিদিমাকেও কুপিয়ে খুন করলেন যুবক। নদিয়ার কালীগঞ্জ এলাকার এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুরু হয়েছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট থানা এলাকার সরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ হালদারের সঙ্গে পলাশি স্টেশনপাড়া এলাকার সাথী হালদারের পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়। দীনেশ পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন্ রাজ্যে থাকাকালীন স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তির জেরে বাপের বাড়ি চলে যান সাথী। গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে ফের স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন দীনেশ। বৃহস্পতিবার কাজ থেকে ফিরে তিনি জানতে পারেন স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে দাদাশ্বশুরের বাড়িতে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দীনেশ পৌঁছে যায় দাদাশ্বশুরের বাড়িতে। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন স্ত্রীকে। বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন দিদিশাশুড়ির উপরেও। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন অভিযুক্ত। স্থানীয়েরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই মহিলাকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্তের আত্মীয় মানসী হালদার বলেন, “দীনেশ অন্যের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত। সেই সন্দেহ থেকেই দাদাশ্বশুরের বাড়িতে চড়াও হয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে। দিদিমা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপায়।” কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার উত্তমকুমার ঘোষ বলেন, “খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy