গাছে বেঁধে মার মহিলাকে। —নিজস্ব চিত্র।
ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। কিন্তু জনতার হাত থেকে মহিলাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বেগ পেতে হয় তাদের। পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের উত্তরপাড়া এলাকায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন এক মহিলা। তাঁকেই হঠাৎ ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রেখে নানা প্রশ্ন করেন স্থানীয়েরা। এত লোকজন দেখে ঘাবড়ে যান ওই মহিলা। তাঁর কাছে অসংলগ্ন জবাব মেলায় বাঁধা হয় গাছে। মহিলার কাছে থাকা একটি ব্যাঙ্কের কাগজপত্র, কিছু টাকা, বই-খাতা এবং কলম মেলে। তাতে নাকি আরও সন্দেহ বৃদ্ধি পায় এলাকাবাসীর। শুরু হয় নির্যাতন।
ওই খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মহিলাকে কোনও রকমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। কিছু দিন আগে শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে হাসপাতাল থেকে চলেও যান। বুধবার শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের উত্তরপাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তখনই এলাকাবাসী তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে গাছে বেঁধে রাখেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাড়ি শান্তিপুর থানার হরিপুর সাহেবডাঙ্গা এলাকায়। এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না-হয়, সে জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এলাকায় বেশি করে প্রচার করা হবে। পাশাপাশি, বুধবার ঠিক কী ঘটেছিল, কারা এই হেনস্থায় অভিযুক্ত, তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা জিৎ সমাদ্দার বলেন, ‘‘এই মহিলা স্থানীয় বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন জিনিস দেখিয়ে প্রলোভন দিচ্ছিলেন। পাড়ার মেয়েরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রশ্ন করে। অসংলগ্ন উত্তর দেওয়ায় স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy